বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট দলের জায়গা নেই : প্রধান উপদেষ্টা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪১:০১ অপরাহ্ন

ডাক ডেস্ক : ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের মধ্যে ফ্যাসিবাদের সব রূপ বিদ্যমান ছিল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তাদের বর্তমানে দেশের রাজনীতিতে কোনো ‘স্থান নেই’।
সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে (এফটি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। সাক্ষাৎকারটি গতকাল বুধবার প্রকাশিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এখনই ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে না। এ সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা এড়াতে নেওয়া হয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
ড. ইউনূস বলেন, নিশ্চিতভাবে স্বল্প সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে কোনো স্থান হবে না। তারা জনগণ ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং নিজেদের স্বার্থে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনো ফ্যাসিবাদী দলের অস্তিত্ব থাকা উচিত নয়।
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে তিনি অনুমান করেন যে আওয়ামী লীগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। তবে জানান, তার অন্তর্বর্তী সরকার দলটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে না, কারণ এটি কোনো ‘রাজনৈতিক সরকার নয়’।
ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের কোনো ইচ্ছা নেই বলেও জানান ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ হলো সবকিছু ঠিক করা এবং সংস্কার সম্পন্ন করা। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ হলে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত। দেশের আদালতে রায় প্রকাশের পর আমরা তাকে ভারতের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। রায় হওয়ার আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।”
এদিকে, ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান এখনও স্পষ্ট না হলেও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এফটিকে জানান, যেকোনো সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তাদের দল প্রস্তুত আছে।
অন্যদিকে, নতুন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশ, বিচার বিভাগ এবং জনপ্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের জন্য ১০টি কমিশন গঠন করেছে।