নগরীতে ছাত্রীর ওপর পাশবিকতা চালানোর চেষ্টা, শিক্ষক গ্রেফতার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৯:৩০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : নগরীর পাঠানটুলা দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুহিবুর রহমান ছাত্রীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানোর চেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। ওই ছাত্রীর মা গতকাল সোমবার কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, মুহিবুর রহমান নামের ওই শিক্ষক একটি কোচিং সেন্টারে নিয়মিত প্রাইভেট পড়ান। গত বুধবার ওই ছাত্রী শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যান। এ সময় শিক্ষক মুহিবুর রহমান ওই ছাত্রীর ওপর পাশবিক নির্যাতনের চেষ্টা করেন।
এই ঘটনায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগে ভিকটিমের মা উল্লেখ করেন, গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় ওই শিক্ষক তার মেয়েকে একটি মোবাইল নাম্বার দেন এবং বাসায় পৌঁছে ফোন দিতে বলেন। তার মেয়ে রাত সাড়ে ৮টায় অভিযুক্ত শিক্ষকের ওয়াটসআপে ফোন দিলে অশালীন কথাবার্তা বলে পরদিন কোচিংয়ে যেতে বলেন। ওই শিক্ষকের কথামতো স্কুল থাকায় পরদিন ৬ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে কোচিং সেন্টারে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তি পাঁচ ছাত্রকে পড়াতে দেখে তার মেয়ে কোচিংয়ের পড়া অবস্থায় তিনজন ছাত্র চলে যায়। অন্য দুই ছাত্র পড়তে থাকে। কিন্তু ওই শিক্ষক তার মেয়ের পড়া অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯টায় ইশারায় কোচিং রুমের বাইরে তার বাসায় নিয়ে যান এবং তার মেয়ের সম্ভ্রম হানির চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি করে ব্যর্থ হয়ে কাউকে না জানানোর অনুরোধ করেন। তখন তার মেয়ে স্কুলের দেরি হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে শটকে পড়ে এবং স্কুলে গিয়ে বান্ধবীদের বিষয়টি জানায়। তার বান্ধবীরা ঘটনা শুনে প্রধান শিক্ষককে জানাতে বলে। প্রধান শিক্ষক তার কথা শুনে একটি লিখিত অভিযোগ রাখেন। পরবর্তিতে তার মেয়ে বাসায় এসে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি ঢাকায় অবস্থানরত তার স্বামীকে জানান। ভিকটিমের বাবা জানতে পেরে দ্রুত ঢাকা থেকে এসে মেয়েকে নিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী পরিচয়ে কতিপয় ছাত্র ওই শিক্ষককে রক্ষায় পাঠানটুলা স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা অভিযুক্ত শিক্ষককে নির্দোষ দাবি করে ছাড়ানোর জন্য প্রধান শিক্ষককের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয় বলেও জানান তিনি।