সিলেটের সাত ইউনিয়নে পরিচালিত হবে ওয়ার্ল্ড ভিশনের কার্যক্রম
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১৫:২৬ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট সদর উপজেলায় উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ডভিশন এর কার্যক্রমের পরিধি আরো বাড়ছে। আগে চারটি ইউনিয়নে সংস্থার কর্মকান্ড পরিচালিত হলেও এখন সাতটি ইউনিয়নেই কার্যক্রম চালাবে সংস্থাটি। তবে, নতুন সংযোজিত তিনটি ইউনিয়নে পরিচালিত হবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম।
গতকাল বুধবার সদর উপজেলা প্রশাসন ও ওয়ার্ল্ড ভিশন সিলেট এপির যৌথ আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী কমিটিগুলোকে অধিকতর কার্যকর করার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রশাসক ও প্যানেল চেয়ারম্যানগণ তাদের পরিষদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। এসময় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সদস্য, সংরক্ষিত আসনের সদস্য ও পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও উদ্যোক্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। এর স্থায়ী কমিটিগুলোকে কার্যকর করা গেলে পরিষদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্থানীয় সরকারের অগ্রযাত্রাকে গতিশীল করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
ওয়ার্ল্ড ভিশন সিলেট এপির সিনিয়র ম্যানেজার কাজল দ্রং এর সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন সিলেট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মোগলগাঁও ইউনিয়নের প্রশাসক মাহবুবুল ইসলাম, কান্দিগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মনাফ, হাটখোলা ইউপি চেয়ারম্যান কেএম রফিকুজ্জামান, খাদিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান দিলওয়ার হোসেন, জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মানিক মিয়া, খাদিমপাড়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মোসাব্বির ও টুকেরবাজার ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে ওয়ার্ল্ড ভিশন সিলেট এপির সিনিয়র ম্যানেজার কাজল দ্রং বলেন, জালালাবাদ, হাটখোলা, টুকেরবাজার ও কান্দিগাঁও ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের জীবন মান উন্নয়ন এবং নারী ও শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ফলে, উপকারভোগী শিশুর সংখ্যা দাড়িয়েছে সাড়ে ১৪ হাজার। ২০২৮ সাল পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে। অপর তিনটি ইউনিয়নে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড ভিশন এর মাঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাবির আহমদ নোমান, মনোরঞ্জন বড়ৈ, আশুতোষ রেমা, অশেষ রেম, জয় প্রমুখ। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন আব্দুর রহমান, পবিত্র গীতা পাঠ করেন মৃদুল কান্তি সরকার ও পবিত্র বাইবেল থেকে পাঠ করেন মনোরঞ্জন বড়ৈ।