‘ক্ষমতা হারানোর ভয়েই আওয়ামী সরকার শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে’
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:২০:৫৯ অপরাহ্ন

অনলাইন ডেস্ক : শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তার সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি হেফাজতে ইসলাম নিজেরাও অনুসন্ধান করতে পারে।
‘ক্ষমতা হারানোর ভয়েই আওয়ামী সরকার শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুল আলম এ কথা বলেন। রাজধানীর এফডিসিতে আজ শুক্রবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
শফিকুল আলম বলেন, ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন করার জন্য ২০১৩ সাল ছিল আওয়ামী লীগের গুম ও খুনের এক মহোৎসব। শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের সেই রাতে বারাকাহ, ইসলামী হাসপাতাল ও সিদ্ধিরগঞ্জের হাসপাতালগুলোতে গুলিবিদ্ধ অনেকের লাশ পাওয়া গেলেও তৎকালীন সরকার তা স্বীকার করেনি।
তিনি বলেন, ‘হেফাজতের সমাবেশে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তার সঠিক তথ্য আমরা এখনো জানতে পারিনি। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি হেফাজতে ইসলাম নিজেরাও প্রকৃত আহত ও নিহতের তথ্য অনুসন্ধান করতে পারে।’
প্রেস সচিব বলেন, পতিত আওয়ামী সরকার বরাবরই হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার কৌশল অবলম্বন করেছিল। ২০১৩ সালে হেফাজতের ওপর ক্র্যাকডাউন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সরকার নিজেদের জঙ্গিবাদবিরোধী প্রমাণের চেষ্টা করেছে। জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদী তকমা দিয়ে ভিন্নমত দমনের লক্ষ্যে গুম ও খুন করাই ছিল পতিত সরকারের অন্যতম কৌশল।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ৫ মে গভীর রাতে হেফাজতে ইসলামের গণসমাবেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল, তা দেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায়। ৭ ও ৮ মে ভোরে জুরাইন কবরস্থানে হেফাজতের কর্মীদের বহু মরদেহ দাফন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও অপরাধীদের বিচারের দাবিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পক্ষ থেকে ৫ দফা সুপারিশ করা হয়।
‘ক্ষমতা হারানোর ভয়েই আওয়ামী সরকার শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা বিতার্কিকদের পরাজিত করে তানযীমুল উম্মাহ আলিম মাদ্রাসার বিতার্কিকেরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, আইনজীবী শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়।