ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মানববন্ধন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৬:০৪ অপরাহ্ন
সারাদেশে আলোচিত ট্রান্সজেন্ডার (লিঙ্গ রূপান্তর) ইস্যুতে সিলেটে প্রতিবাদী মানববন্ধন করেছে ছাত্রজনতা। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় নগরীর চৌহাট্টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কাজিরবাজার জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়াসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট বাগবাড়ি বায়তুল আযিম জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মনসু মনসুর। বক্তব্য রাখেন আর-রশীদ ইসলামিক ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল মাওলানা সাদিকুর রাহমান, ডা. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল ওয়ার্ক বিভাগের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান এবং সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহিন আব্দুল্লাহ বিন শাহিদুল্লাহ, সিদ্দিকুর রহমান ও আমান উদ্দীন।
মানববন্ধনে ট্রান্সজেন্ডার (লিঙ্গ রূপান্তর) ইস্যুতে ৮টি দাবি উত্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাকরিমুল হাসান।
দাবিগুলো হচ্ছে- ১. দেশে ট্রান্সজেন্ডারবাদ ও এলজিবিটিকিউ এর মতো জঘন্য যৌন বিকৃতিগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে চলমান সকল কার্যক্রম অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
২. ইতিমধ্যে পাঠ্যপুস্তকে চলে আসা শরীফ-শরীফার গল্পসহ ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ প্রমোট করে এমন সকল বিষয় পাঠদান থেকে বিরত থাকতে হবে এবং এই ব্যাপারে শ্রেণিকক্ষে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
৩. পাঠ্যবইয়ের এসব বিকৃতি নিয়ে কথা বলার কারণে কোনো নাগরিককে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা বা হেনস্থা করা যাবে না।
৪. ট্রান্সজেন্ডার অধিকার সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করার মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
৫. উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব বিকৃত পাঠকে কাররিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাঠ্যবই রচনা পরিষদকে উপযুক্ত জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
৬. নতুন করে পাঠ্যপুস্তক রচনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নতুন পাঠ্যবইসমুহকে অবশ্যই এই ভূখণ্ডের মুসলমানদের আদর্শ ও বিশ্বাসের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে।
৭. দেশে এলজিবিটি এজেন্ডা প্রচারে কাজ করা অর্গানাইজেশনগুলোকে দেশ, দেশের আইন ও মূল্যবোধবিরোধী কাজের জন্যে যথাযথ জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী ব্র্যাক, বন্ধু সোশ্যাল সহ আরো যারা যারা এতোদিন যাবত এসব বিকৃতি প্রচারে কাজ করছে তাদেরকে বিচারিক কার্যক্রমের অধীনে আনতে হবে এবং তদন্ত করতে হবে এতোদিন যাবত কীভাবে তারা এসব বিকৃতি নিয়ে বাধাহীনভাবে কাজ করে গেছে। এরা বিকৃতির প্রচারক হবার পাশাপাশি একইসাথে প্রতারকও।
৮. দাবিগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে আমলে নিতে হবে। অন্যথায় ছাত্রসমাজ ও বৃহত্তর সচেতন নাগরিক সমাজ এসব বিকৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে। -বিজ্ঞপ্তি