বিশ্বনাথে পশুর হাটে বীর, ডন, কালু মাস্তান
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুন ২০২৪, ৬:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন

বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথে জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাট। বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে শত বছরের প্রাচীন পশুর হাটটিতে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের গরুসহ ছাগল, ভেড়া, মহিষসহ বিপুল সংখ্যক কুরবানির পশুর সমাহার ঘটেছে। বিশাল আকারের বাংলার বীর, ডন, কালু মাস্তান, সিতারা, নাইট কুইনসহ নানা বাহারী নামের ষাঁড়গুলো দেখতে ভিড় করতে দেখা যায় উৎসুক জনতাসহ ক্রেতাদের। ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সার্বক্ষণিকভাবে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে হাটে।
বিশ্বনাথে গত কয়েক বছরে গড় উঠেছে বেশ কয়েকটি গরুর খামার। এতে উচ্চ শিক্ষিত ও অনেক প্রবাসী বিনিয়োগ করেছেন। হাটে স্থানীয় খামারিদের গরু বেশি দেখা যাচ্ছে। বেপারীরাও ক্রেতা টানতে বাংলার বীর, ডন, কালু মাস্তান, সিতারা, নাইট কুইন সহ নানান বাহারী নাম রেখে বিশাল আকারের ষাঁড় নিয়ে এসেছেন হাটে। এর মধ্যে উত্তর দৌলতপুর গ্রাম থেকে নিয়ে আশা প্রায় ৮ মণ ওজনের একটি বিশাল ষাঁড়ের নাম বাংলার বীর। এর মালিক সুন্দর আলী জানিয়েছেন, ‘বাংলার বীর’ এর দাম তিনি চাচ্ছেন সাড়ে চার লক্ষ টাকা।
বাজারের ইজারাদার মো. শাহ আল-মামুন জানান, তুলনামূলক ভাবে গরু ও ছাগলের বিক্রি ভালো। গরু কিনতে আসা স্থানীয় জগদীশ গ্রামের প্রবাসী আব্দুল গফুর জানিয়েছেন, কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে তিনি দেশে এসেছেন। যদিও এখনও গরু কেনা হয়নি,আজ পছন্দ না হলে আগামী রোববার কুরবানির জন্য গরু ক্রয় করবেন। বিশ্বনাথ পৌরসভার সরুয়ালা গ্রামের গরু বেপারী জিলু মিয়া জানান, তিনি সবসময়ই বিশ্বনাথবাজারের কুরবানির পশুর হাটের অপেক্ষায় থাকেন। প্রতি বছর এই বাজারেই সাশ্রয়ী দামে সুস্থ পশু কেনেন ও বিক্রি করেন।
বিশ্বনাথ থানার এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বিশ্বনাথ এর পশুর হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতার নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান বলেন, বিশ্বনাথের প্রধান এই পশুর হাটটি খুবই জরাজীর্ণ ছিল। পৌরসভার পক্ষ থেকে এখানে কয়েক লক্ষ টাকার সংস্কার কাজ করা হয়েছে। অন্যবারের চেয়ে এবার খামারিরা ও কৃষকরা হাটে বেশি গরু ও ছাগল আনতে পারছেন।