বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ মে ২০২৩, ১২:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন
![বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2023/05/editorial-768x512-2-300x200-1.jpg)
সৎ হতে হবে অথবা সৎ লোকের অনুসন্ধান করতে হবে। -ডেমিক্রিটাস
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে। এই দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো- ইন্টারনেট, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিকাশের সঙ্গে জনগণকে পরিচিত করা, যাতে সমগ্র বিশ্ব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারে। ১৮৬৫ সালের ১৭ই মে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠা এবং প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ সম্মেলন অনুষ্ঠানের নিদর্শন স্বরূপ ১৯৬৯ সালের ১৭ই মে প্রথমবারের মতো বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস পালিত হয়েছে। এরপর থেকে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের আহ্বানে আজকের এই দিনটিতে পালন করা হচ্ছে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস।
টেলিযোগাযোগ বলতে বোঝায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে যোগাযোগের উদ্দেশ্যে দূরবর্তী কোন স্থানে সংকেত, তথ্য বার্তা পাঠানো। এই যোগাযোগ তারের মাধ্যমে বা তারবিহীন প্রযুক্তি ব্যবহার করেও হতে পারে। শুরুতে টেলিফোনই ছিলো একমাত্র টেলিযোগাযোগ যন্ত্র। পরবর্তীতে তারহীন বার্তা প্রেরণ বা বেতার টেলিযোগাযোগ আবিস্কার হয়েছে। রেডিও যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আর বর্তমানে ইলেকট্রনিক ট্রান্সমিটারের ব্যবহার করে তড়িৎ চুম্বক তরঙ্গের মাধ্যমে সংকেত পাঠানো হলেও আগেকার যুগে ধোঁয়ার সংকেত, ঢোল অথবা পতাকার মাধ্যমে সংকেত পাঠানো হতো। বর্তমানে টেলিযোগাযোগ বিশ্বব্যাপি বিস্তৃত এবং এ পদ্ধতিতে ব্যবহৃত যন্ত্র যেমন- টেলিফোন, রেডিও, টেলিভিশন এবং ওয়াকিটকি সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায়। এইসব যন্ত্রকে পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরণের নেটওয়ার্ক রয়েছে। প্রাচীন যুগে মানুষ দূরে অবস্থানকারি কোন মানুষের সঙ্গে ধোঁয়ার সংকেত দিয়ে বা ঢোল বাজিয়ে যোগাযোগ করতো। ১৭৯২ সালে ক্লদশাপে নামক ফরাসী বিজ্ঞানী প্রথম দৃশমান টেলিফোন যন্ত্র আবিস্কার করেন। পরে ১৮৫৭ সালে আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল আবিস্কার করেন পূর্ণাঙ্গ টেলিফোন। টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে সাফল্যের শুরু এভাবেই।
বর্তমানে এ ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটেছে। ইন্টারনেট, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং বিকাশের সঙ্গে জনগণকে পরিচিত করে তোলাই হচ্ছে টেলিযোগাযোগ দিবসের উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর চেয়ে একটু বেশি এগিয়ে গেছে, এমনটি বলাই যায়। এর প্রধান কারণ হলো- মহাকাশে এখন রয়েছে আমাদের স্যাটেলাইট (বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১)। তাছাড়া, আশিভাগ জনগোষ্ঠি ব্যবহার করছে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট। মানুষ ঘরে বসেই সরকারের অনেক সেবা সহজেই পেয়ে যাচ্ছে। তবে এই ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আশানুরূপ নয় এখনও। যেমন উচ্চ গতির (ব্রডব্যান্ড) ও মান সম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানে আরও অগ্রগতি দরকার। এই ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে পারলে মানুষের আয়, জীবনমান উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।