আমদানি না থাকায় পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দর বাড়ছেই
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ মে ২০২৩, ৫:২৯:১১ অপরাহ্ন

সুনীল সিংহ :
রসনা বিলাসীদের খাবারের তালিকায় থাকা খাদ্যে স্বাদ বাড়ায় পেঁয়াজ। পেঁয়াজ ছাড়া কোন খাদ্যই সুস্বাদু হয় না। তাই, প্রতিদিনের তরকারি পেঁয়াজ ছাড়া ভাবাই যায় না। আর এ পেঁয়াজের দর বাড়তি থাকায় বিপাকে পড়েছেন নি¤œবিত্ত থেকে শুরু করে সকলেই।
গতকাল মঙ্গলবার কালিঘাটের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি দেশীয় পেঁয়াজ সকালে ৬০ টাকা আর বিকেলে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
নগরীর সবচেয়ে বড় ব্যবসা কেন্দ্র কালিঘাটের আড়তদাররা জানান, পেঁয়াজ আমদানি শুরু না হলে দর আরো বাড়বে। তাই, পেঁয়াজ আমাদানির অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আড়তদার জানান, ভারত থেকে চোরাকারবারীরা কিছু পেঁয়াজ নিয়ে আসছে। কিন্তু তা সীমান্ত এলাকা ছাড়া শহরাঞ্চলে পৌঁছায় না। ফলে দর বাড়তি থাকছে। এ অবস্থা চললে দর ’শ ছাড়িয়ে যাবার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
মেসার্স জনপ্রিয় বাণিজ্যালয়ের পরিচালক শরীফ হোসেন জানান, পেঁয়াজ আমদানির এলসি বন্ধ থাকায় বাজারে দাম বাড়ছে। ভারত বা অন্য দেশের পেঁয়াজ আমদানি শুরু না হলে দাম আরও বাড়বে।
লালদিঘির পাড়ের খুচরা ব্যবসায়ী হান্নান জানান, সিলেটে পেঁয়াজের আমদানি কম থাকায় দাম বাড়ছে। সকালে পাইকারি বাজার থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা দরে কিনেছি। বস্তায় ঘাটতি থাকে ২ থেকে ৩ কেজি সে সব হিসেব করে আমাদের পেঁয়াজ বিক্রি করতে হয়।
নগরীর কানিশাইলের বাসিন্দা লোকমান মিয়া জানান, পেঁয়াজের দর প্রতিদিনই বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
লামাবাজারের বাসিন্দা সৈয়দ নাসির উদ্দিন জানান, পেঁয়াজসহ প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দর অসহনীয় পর্যায়ে। এ অবস্থা চলতে থাকলে লোকজনের সংসার চালানো দায় হয়ে পড়বে।
তারা দু’জনই বাজার দর নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের নজর দেয়ার কথা বলেন।