মূল নকশায় ভুল ছিলো
সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নির্মাণে ত্রুটি সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মে ২০২৩, ১২:১০:১৭ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটে নবনির্মিত অত্যাধুনিক কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ভবনের গ্লাস ভেঙে পড়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। একই সাথে ভবন নির্মাণে ত্রুটি সম্পর্কিত বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি । গতকাল বুধবার জরুরি সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন তিনি। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী- টার্মিনাল ভবনের নকশায় ত্রুটি রয়েছে। নকশাটি করেছিলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিট্যাক্ট বিভাগ এবং এসজিএমপি। তাদেরকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে এবং ত্রুটি মেরামতের লক্ষ্যে নকশাটি সংশোধন করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। মেয়র দাবি করেন, নকশা ডিজাইনে নগর ভবনের প্রকৌশল বিভাগের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইই বিভাগের অধ্যাপক জহির বিন আলম, এলজিইডি, সিলেট এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী বাস টার্মিনাল ভবনের ত্রুটি চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটিতে ছিলেন। তারা সম্প্রতি যে প্রতিবেদন দিয়েছেন তাতে উল্লেখ করা হয়েছে ভবনটির মূল নকশায় সমস্যা রয়েছে এবং ওয়াল নির্মাণে আরো সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিলো। ওই কমিটির সংস্কার তথা পুন:ডিজাইনের জন্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিআরটিসি বিভাগকে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়।
আরিফুল হক চৌধুরী আরো বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়ে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন। বুয়েটের প্রকৌশলীদেরও পরামর্শ নিচ্ছেন। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
এর আগে গত এপ্রিল মাসের ১ তারিখে সিলেটের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ফাটল দেখা দেয়। এতে কোনো নির্মাণত্রুটি রয়েছে কি না তা অনুসন্ধানে ৬ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিলো। গত ৭ মে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মিউনিসিপ্যাল গভর্নমেন্ট সার্ভিস প্রজেক্ট- এমজিএসপি প্রকল্পে সিলেট সিটি কর্পোরেশন দেশের সর্বাধুনিক সুবিধাসংবলিত ও নান্দনিক নির্মাণশৈলীতে ‘কদমতলী বাস টার্মিনাল’ নির্মাণ করে। ৮ একর ভূমিতে এ টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। গত ১৫ জানুয়ারি টার্মিনালটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়। এরপর টার্মিনালের ছাদের একটি অংশে ফাটল দেখা যায়।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে
সিসিক মেয়র আরও বলেন, এখনো সিসিকের কাছে এ প্রকল্পটি নির্মাণ সংস্থা হস্তান্তর করেনি। উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষমাণ বাস টার্মিনালটিতে সুযোগ-সুবিধা ঠিক আছে কি না, তা পর্যবেক্ষণের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে সেবা প্রদান শুরু হয়। এরই মধ্যে স্থাপনাটির একটি অংশে কিছু ত্রুটি দেখা যায়। ত্রুটি সারানোর পর নগর ভবন টার্মিনাল গ্রহণ করবে।