আজমিরীগঞ্জে রাস্তা সংস্কারের গার্ডওয়াল নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২২ মে ২০২৩, ৬:৩৪:১৩ অপরাহ্ন
আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে রাস্তা সংস্কারের গার্ডওয়াল নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। পৌরসভার মুন সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকা থেকে আজমিরীগঞ্জ-পাহাড়পুর সড়কের দুই কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারে এই অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সড়কটির সংস্কারের কাজ করছে হবিগঞ্জের জামাল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) লোকজনকে ম্যানেজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দায়সারাভাবে সংস্কার কাজের গাইডওয়াল নির্মাণ ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করছে। অন্যদিকে ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই দিচ্ছে স্থানীয় এলজিইডি অফিস।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার মুন সিনেমা হল সংলগ্ন আজমিরীগঞ্জ-বদলপুর ভায়া পাহাড়পুর সড়কে দুই কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য হিলিপ প্রকল্পের অর্থায়নে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ২১ লাখ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে দুই কিলোমিটার রাস্তা পুনঃ সংস্কার এবং ২৮০ মিটার গাইডওয়াল নির্মাণ। দরপত্রের মাধ্যমে জামাল এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। গত দুই সপ্তাহ আগে কাজটি শুরু করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাইডওয়াল নির্মাণে নিচের অংশে সাব-বেজ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। গাইডওয়াল নির্মাণে নিচের অংশে ১৫ ইঞ্চি এবং উপরের অংশে ১০ ইঞ্চি ইটের দেয়াল করার কথা থাকলে নিচে ৯ থেকে ১০ ইঞ্চি করা হচ্ছে। এছাড়াও গাইডওয়াল নির্মাণে নিম্নমানের পিলার ব্যবহৃত হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ তানজির উল্যাহ সিদ্দিকীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
রাস্তার সংস্কার কাজ দেখার দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাফর ইকবাল জানান, জেলা সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো.শফিকুল ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে।
সংস্কারাধীন সড়ক এলাকার বাসিন্দা আনিসুর রহমান, সাগর হাসান, রুমান মিয়াসহ একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংস্কার কাজের গার্ডওয়াল নির্মাণে অনিয়ম এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে, ফলে রাস্তা কিছুদিন পরই পুনরায় ভেঙ্গে যাবে। এতে করে একদিকে সরকারি টাকা যেমন নষ্ট হবে, অপরদিকে জনসাধারণের যোগাযোগে ভোগান্তিও বাড়বে ।
জামাল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জামাল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, আমি অফিসের নকশা মোতাবেক কাজ করছি। নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
জেলা সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিং এ আছেন পড়ে কথা বলবেন বলে জানান।