যৌনর্কমীর সন্তানদরে পরচিতিি ও স্বীকৃতি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মে ২০২৩, ৭:১১:২০ অপরাহ্ন
রফকিুর রহমান লজু
হাজরো বগেম মা না হয়ওে মা হয়ে ওঠছেনে। তনিি ৪০ জন সন্তানরে মা হয়ছেনে। তনিি মাতৃ¯œেহে অতি আদরে তাদরে লালন পালন করছেনে। তনিি তাদরে সবারই মা। এই সন্তানদরে বশেরি ভাগই যৌনর্কমীর সন্তান। হাজরো বগেম এই সন্তানদরে নয়িে তার অভজ্ঞিতা শক্ষর্িাথীদরে সঙ্গে বনিমিয় করনে। বস্তির আলোচনা হয়ছেলিো। আলোচনার মধ্যে তনিি একটি গুরুত্বর্পূণ কথা বলছেলিনে। তনিি বলনে, সবার সন্তানই এই দশেে স্কুলে পড়তে পার,ে কন্তিু যৌনর্কমীর সন্তান স্কুলে র্ভতি হতে পারে না। কারণ তাদরে বাবার পরচিয় নইে। বাবার পরচিয় এই সমাজে গুরুত্বর্পূণ। কারণ এতোদনি র্পযন্ত সন্তান পতিার মাধ্যমইে পরচিতি হতো। হাজরো বগেম সন্তানদরে নয়িে লড়ছেনে, তাদরে মানুষ করছেনে লখোপড়া দয়ি।ে তার প্রচষ্টোয়ই সবাই মাথা তুলে দাঁড়য়িছে।ে তার এক সন্তান এখন ডগ্রিি র্পযায়ে পড়ছ।ে এটি সম্ভব হয়ছেে কয়কেজন অসম্ভব হৃদয়বান মানুষরে জন্য। এই মানুষজন হাজরো বগেমরে সন্তানদরে কাগুজে পতিা হয়ছেনে। পতিার পরচিয় বাদে তারা তাদরে মৌলকি অধকিারটুকু র্অজন করতে পারছলি না। যারা একক মা হসিবেে দায়ত্বি পালন করছনে, তারা অনকে সময়ই হতাশা ব্যক্ত করছেনে, সন্তানরে র্ভতি নয়িে বপিাকে পড়ছেনে। কারণ তাদরে অনকেরেই সাবকে স্বামীরা সহযোগতিা করছনে না। তাদরে অনকেরে সঙ্গইে হয়তো সন্তান কংিবা সাবকে স্বামীর যোগাযোগ নইে। তাই তারা কছিুতইে সন্তানরে পতিার পরচিয়পত্র স্কুলে জমা দতিে পারছনে না। এ জন্যে সন্তানরে র্ভতি নয়িে তারা উদ্বগ্নি ছলিনে। সন্তানরে পতিা বা মায়রে সাবকে স্বামীরা এভাবে নানা সমস্যার জালে আটকে রখেছেলিো তাদরে। এভাবে নানা সমস্যা ও খারাপ সর্ম্পক থকেে বরেয়িে আসার সাহস করনে,ি নপিীড়নরে মধ্যইে তারা ছলিনে। সাম্প্রতকি সময়ে এ ব্যাপারে হাইর্কোটরে একটি রায় হয়ছে।ে ১৪ বছর আগে করা রাষ্ট্র, নারীপক্ষ এবং বাংলাদশে মহলিা পরষিদরে করা একটি রটিরে চূড়ান্ত শুনানী শষেে এই রায়টি হয়ছে।ে রায়টি হলো এরকম: এখন থকেে বাংলাদশেে মা হতে পারবনে সন্তানরে অভভিাবক। এর আগে শক্ষিা ও অন্যান্য র্ফমে শুধু পতিার নামই দওেয়া হতো এবং পতিাই ছলিনে সব জায়গায় গুরুত্বর্পূণ। আওয়ামী লীগ সরকাররে নব্বই-পরর্বতী প্রথম দফার শাসনামলে ২০০০ সালে পতিার নামরে পাশাপাশি মায়রে নাম লখোও বাধ্যতামূলক করা হয়। সটেওি বাংলাদশেে লঙ্গিীয় সমধকিাররে প্রশ্নে একটি গুরুত্বর্পূণ সংযোজন ছলি। কন্তিু এরপরও মায়রে একক অভভিাবকত্বরে স্বীকৃতি মলেনে।ি অপক্ষো করতে হয়ছেে র্দীঘ ২২ বছর। তবে হাইর্কোটরে উক্ত রায়রে ফলে এখন থকেে শুধু মায়রে পরচিয়ওে সন্তান পরচিতি হতে পারব।ে শুধু তাই নয়, হাইর্কোটরে রায়রে ফলে মা-বাবা যে কউে অভভিাবক হতে পারবনে।
আদমি সাম্যবাদী ব্যবস্থায় সন্তানরে পতিার পরচিয় নর্ধিারণ খুব কঠনি ছলি। কারণ মায়রে মাধ্যমইে সন্তান পরচিতি হতো। তবে পতিার পরচিয় শুধু মা-ই জাননে। সব রকম সংস্কার ও আইনি পরর্বিতনরে পাশাপাশি যা প্রয়োজন, তা হলো সামাজকি মনস্কতার প্রয়োজন খুব জরুর।ি
সূত্র ও সহায়তা
ড. জোবাইদা নাসরীন-এর ‘এটি আইনি এবং সামাজকি লড়াই’ দনৈকি আমাদরে সময় ৩ ফব্রেুয়ার,ি ২০২৩