সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ মে ২০২৩, ৫:২১:২৬ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুরে নূরুল ইসলামের জয়ের
নেপথ্যে ব্যক্তি ইমেজ ও দলীয় ঐক্য
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম। নৌকা প্রতীকে তিনি ১০ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। তাঁর এ চমকপ্রদ জয়ের পেছনে রয়েছে ভালো মানুষ হিসেবে তাঁর পরিচিতি ও দলের ঐক্য- এমনটাই জানালেন উপজেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, গত বছরের ২ নভেম্বর জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন নৌকা প্রতীকে ২৩ হাজার ৩২৪ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী তালহা আলম। তিনি পান ১৮ হাজার ৬৬৭ ভোট। ২৬ ডিসেম্বর আকমল হোসেন ইন্তেকাল করলে ৫ মাসের ব্যবধানে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ১২ জন প্রার্থী দলের মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। কিন্তু দলের মনোনয়ন বোর্ড জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, পরিকল্পনামন্ত্রীর অনুসারী নুরুল ইসলাম কে মনোনয়ন দেন। নুরুল ইসলাম একজন সজ্জন রাজনীতিবীদ ও ভালো মানুষ হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত। তাঁর মনোনয়নকে চমক হিসেবে দেখেন নেতাকর্মী ও ভোটাররা। এরপরও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি, যুক্তরাজ্য প্রবাসী হারুণ রাশীদ বিদ্রোহী প্রার্থী হন। এছাড়াও প্রার্থী হন গত নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তালহা আলম, জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুম কামালী, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আতাউর রহমান (লাঙ্গল)। প্রচারণার শুরুতে প্রবাসী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে আলোড়ন তোলার চেষ্টা করলেও ভালো মানুষ হিসেবে নুরুল ইসলাম প্রচারণায় বাড়তি সুবিধা পান। ফলাফলে নুরুল ইসলাম ২২ হাজার ২১২ আর প্রতিদ্বন্দ্বী তালহা আলম ১১ হাজার ২০৩ ভোট পান।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমেদ বলেন, সব মহলে গ্রহণযোগ্যতা ও দলীয় ঐক্যের কারণে কালো টাকার বিরুদ্ধে বড় জয় পেয়েছেন নুরুল ইসলাম । তাঁর পক্ষে প্রচারণায় যেখানে গিয়েছি সবাই বলেছেন তিনি ভালো মানুষ। তিনি জানান, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে দুই ধারায় বিভক্ত। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ নৌকার পক্ষে এসে মাঠে কাজ করায় দলের বিভক্তি দূর হয়ে যায়।
জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে জনগণ একজন ভালা মানুষ হিসেবে বিপুল ভোটে নৌকা প্রতীকে তাকে নির্বাচিত করেছেন। তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সার্বিক তত্বাবধানে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্য বিজয়ের পথ কে সুদৃঢ় করেছে।