রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন
বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মে ২০২৩, ৬:০৪:০৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫০ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়। দুপুর ১২টায় কলেজ ক্যাম্পাসে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আবেদ হোসেন, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম দাউদ এবং হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মোঃ তারেক আজাদের নেতৃত্বে শিক্ষক, চিকিৎসক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে দুপুর সোয়া ১২ টায় সন্ধানী জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ইউনিট এর উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আবেদ হোসেনসহ শিক্ষকবৃন্দ।
রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে কলেজ কনফারেন্স রুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আবেদ হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম দাউদ এবং হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মোঃ তারেক আজাদ। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মুইজ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সার্জারী বিভাগের অধ্যাপক নূরুল কাইয়ুম মোহাম্মদ মুসাল্লিন, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক বিদিত রঞ্জন দেব।
ডার্মাটোলজি এন্ড ভেনেরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন; যিনি শুধু নিজ দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেননি, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি সারা বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের কণ্ঠস্বর ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি ছিল বিশ্বের জন্য নতুন বার্তা। তারই ফল স্বরুপ বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেনসিয়াল কমিটির সভায় ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্য দেশের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে কোন রাষ্ট্র নেতার এটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ এবং বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান। বঙ্গবন্ধু মহাকালেও অধিকার বঞ্চিত মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।