কানাইঘাটে শিশু সন্তানের সামনে মাকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণ’, গ্রেফতার ৫
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মে ২০২৩, ৫:০৮:২২ অপরাহ্ন
কানাইঘাট থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : সিলেটের কানাইঘাটে ৯ মাসের শিশু সন্তানের চিকিৎসার জন্য কবিরাজের সন্ধান দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হচ্ছে- উপজেলার নন্দিরাই গ্রামের দুদু মিয়া (৩৬), বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের হেলাল আহমদ (৩৮), বড়দেশ সরদারীপাড়া গ্রামের ফরহাদ (৩৫), বীরদল আগফৌদ গ্রামের আব্দুল করিম ও বীরদল ছোটফৌদ গ্রামের জুবের আহমদ (২৪)।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভিকটিমের বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার এক ইউনিয়নে। বর্তমানে শ্বশুরবাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলায় বসবাস করেন। ২০ দিন পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামি দুদু মিয়ার সাথে কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিকটিমের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে দুদু মিয়ার সাথে ওই নারীর প্রায়ই ফোনে কথাবার্তা হতো। ভিকটিমের ৯ মাসের শিশু কন্যা অসুস্থ হলে দুদু মিয়া তাকে পার্শ্ববর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার ফুটিজুরি গ্রামের এক কবিরাজের কাছে নিয়া যেতে বলে। পরবর্তীতে মেয়ের চিকিৎসার নাম করে রোববার বিকেল ৩টার দিকে বিয়ানীবাজারে গিয়ে দুদু মিয়া ওই নারীকে শিশু সন্তানসহ তার বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এরপর ফুসলিয়ে কানাইঘাট উপজেলার পুরানফৌদ গ্রামের হাবিব আলীর নির্জন পুকুরঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে হেলাল ও ফরহাদ ওই নারীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তখন দলবেঁধে ধর্ষণের সাথে জড়িতরা পালিয়ে গেলে ধর্ষিতার আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
কানাইঘাট থানার ওসি মো. গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, রোববার রাত ১১টার দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে; সোমবার দিনভর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই নারীকে পুলিশ হেফাজতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)-এ পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিরা জানায়, ধর্ষণে সরাসরি জড়িত হেলাল আহমদ ও ফরহাদ আহমদ। গ্রেফতারকৃত অন্য আসামিরা ধর্ষণে সহায়তা ও ধর্ষিতাকে ফুসলিয়ে অপহরণে জড়িত। তাদের আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।