সিলেট চেম্বারের প্রতিক্রিয়া নতুন বাজেট সময়োপযোগী ও জনকল্যাণমুখী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জুন ২০২৩, ৪:১৮:২৬ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক ॥ বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকে প্রাধান্য দিয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটকে একটি সময়োপযোগী ও জনকল্যাণমুখী বাজেট হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি ও বাজেটের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান।
চেম্বারের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ বাজেট হিসেবে এই বাজেটটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা” শিরোনামে প্রস্তাবিত এ বাজেটে সরকারের উন্নয়ন ও জনকল্যাণমুখী চিন্তা-ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ঘোষিত বাজেটে টেকসই উন্নয়ন ও অভিষ্ট লক্ষ্যসমূহ অর্জন, স্বল্পোন্নত দেশ হতে টেকসই উত্তরণ, কোভিড-উত্তর পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পুনরুদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবকে বিশেষ বিচেনায় আনা হয়েছে। এছাড়াও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, গবেষণা ও উদ্ভাবন, কৃষি খাতে ভর্তুকি প্রদান এবং কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। দেশের বর্তমান অর্থনেতিক প্রেক্ষাপটে ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীতকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে এবং দেশে উৎপাদিত হয় না ও বিলাসী পণ্য নয় এমন ২৩৪টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক এবং ১৯১টি পণ্যের রেগুলেটরি ডিউটি প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আগামী অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বাজেটের সর্বোচ্চ ১৩.৭ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হবে। এছাড়াও পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বাজেটের ১১.৫ শতাংশ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৬.৫ শতাংশ, কৃষিখাতে ৫.৭ শতাংশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ৫.৩ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা বর্তমান সময়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা খাতে ৪২ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণে সকল উপজেলায় একটি করে টিএসসি স্থাপন, সরকারি ইন্সটিটিউটগুলোতে ডিপ্লোমা কোর্সে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক মানের পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা কারিগরি শিক্ষার প্রসারে ও দক্ষ জনশক্তি তৈরীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সর্বোপরি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটটি বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও জনবান্ধব। সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে এই বাজেট দেশ ও জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে বলে মনে করেন সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দ ।