ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩
ইংল্যান্ডের কাছে ১৩৭ রানে হারলো বাংলাদেশ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৯:৫০ অপরাহ্ন
![<span style='color:#000;font-size:18px;'>ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩</span><br/> ইংল্যান্ডের কাছে ১৩৭ রানে হারলো বাংলাদেশ <span style='color:#000;font-size:18px;'>ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩</span><br/> ইংল্যান্ডের কাছে ১৩৭ রানে হারলো বাংলাদেশ](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2021/01/sylheterdak-5-768x406.jpg)
স্পোর্টস ডেস্ক : বড় রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে আরও একবার ভেঙে পড়লো বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং। ডেভিড ম্যালানের সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের করা ৯ উইকেটে ৩৬৪ রানের জবাবে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গেছে ২২৭ রানে। তাতে ধর্মশালায় বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই বাংলাদেশ হারলো ১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে। লিটন সর্বোচ্চ ৭৬ ও মুশফিকুর রহিম ৫১ রান করলেও ইংল্যান্ডের রানের পাহাড় টপকাতে যথেষ্ট ছিলো না। টাইগারদের ১৩৭ রানে হারিয়ে জয়ে ফিরলো বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন রিচ টপলি।
গতকাল মঙ্গলবার ভারতের ধর্মশালায় বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের সপ্তম ম্যাচে টস জিতে ইংল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে রানের বন্যা বইয়ে দেয় ইংল্যান্ড। ১৫.৩ ওভারে বিনা উইকেটে ইংল্যান্ড ছুঁয়ে ফেলে ১০০ রান। ইংল্যান্ডের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে একটা সময় ৪০০ রানের স্কোর অতিক্রম করে যাবে বলে মনে হচ্ছিল। সেটা হতে দেননি শরীফুল ইসলাম-শেখ মেহেদী হাসানরা। শেষ ১০ ওভারে তারা দিয়েছেন মাত্র ৬৬ রান। এরপর ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা আসা যাওয়ার মধ্যেই থাকলেও ৯ উইকেটে ৩৬৪ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের পাহাড়সম স্কোরের বড় অবদান ডেভিড মালানের ১৪০, জো রুটের ৮২ ও জনি বেয়ারস্টোর ৫২ রানের তিনটি ইনিংস। ৮ ওভারে ৭১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী। শরীফুল নিয়েছেন ৩ উইকেট।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন ব্যাটাররা। ৮.৩ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হাওয়া। একে একে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম তিনজনই রিস টপলির শিকার। পরে তিনি উইকেট নিয়েছেন আরো একটি। টপলির ঝড় শেষে মাঝে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারেননি। দুজনের ৭০ রানের জুটি ভেঙেছে লিটনের বিদায়ে। ৭৬ রান করেছেন তিনি। ৬৬ বলের ইনিংসে সাত চার ও দুই ছক্কার মার রয়েছে। বাংলাদেশের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর। পরে মুশফিক-তাওহিদ হৃদয়ের জুটি থেকে এসেছে ৪৩ রান। ফিফটির পর টপলি এর শিকার হোন মুশফিক। ৬৪ বলে ৫১ রান করেছেন তিনি। এই জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশের ইনিংস আর এগোয়নি। বলার মতো স্কোর বলতে হৃদয়ের ৩৯ রান। শেষের ব্যাটসম্যানরা মিরাকল কিছু করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ৪৮.২ ওভারে ২২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।