নগরীতে হঠাৎ গ্যাসের তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ, সংশ্লিষ্টরা বলছেন আতঙ্কের কিছু নেই
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২১ নভেম্বর ২০২৩, ৪:৩৫:২৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করে ছড়িয়ে পড়েছে গ্যাসের তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ। এতে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে, জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। গ্যাস সঞ্চালন লাইনের ছিদ্র (লিকেজ) শনাক্তে গ্যাসের সঙ্গে সরবরাহ করা অডরেন্ট (তীব্র গন্ধযুক্ত এক ধরনের গ্যাস) থেকেই এ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ৩-৪ ঘণ্টা পরে এ গন্ধ থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন জালালাবাদ গ্যাস সংশ্লিষ্টরা।
লোকজন জানান, গতকাল সোমবার হঠাৎ করে মহানগরীর প্রায় সব আবাসিক এলাকায়, রাস্তার পাশে যেখানে গ্যাসের সরবরাহ লাইন, রাইজার রয়েছে সেসব এলাকায় গ্যাসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। নগরীর নয়াসড়ক, কুমারপাড়া, আম্বরখানা, হাউজিং এস্টেট, সুবিদবাজার, মদিনা মার্কেট, টুকের বাজার, রিকাবী বাজার, শেখঘাট, উপশহর, শিবগঞ্জ, টিলাগড়সহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন লোকজন।
এ ব্যাপারে জালালাবাদ গ্যাস টি এ্যান্ড ডি সিস্টেম লিমিটেড সিলেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মনজুর আহমদ চৌধুরী জানান, লিকেজ শনাক্ত করতে গ্যাসের সঙ্গে ব্যবহার করা অডরেন্টের কারণে এই দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। তিনি বলেন, সিলেটের অনেক লাইনে গ্যাসের লিকেজ রয়েছে। লিকেজের কারণেও অনেক বাসা বা প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের চাপ কমে থাকতে পারে। তাছাড়া, লিকেজ থেকে অগ্নিকান্ডসহ দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। গ্যাস গন্ধ এবং বর্ণহীন থাকার কারণে কোথাও গ্যাস লিকেজ হচ্ছে কিনা তা বোঝা যায় না। লাইনের লিকেজ শনাক্ত করার জন্য গ্যাসের সঙ্গে অডরেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। যাতে এই গ্যাসের গন্ধ মানুষ পায়, বিষয়টি জালালাবাদ কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারে।
মনজুর আহমদ চৌধুরী আরো বলেন, গন্ধের বিষয়ে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষকে কেউ অবহিত করলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে অনুসন্ধান করে লিকেজ বন্ধ করা হবে। এছাড়া আমরাও যেখানে গন্ধ পাচ্ছি সেখানে লিকেজ শনাক্ত করছি। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ৩-৪ ঘণ্টা পরে গ্যাসের তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ থাকবে না বলেও জানান তিনি।