সিলেটে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন
পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে সশস্ত্র বাহিনী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ৭:৫৩:৫৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী, ওএসপি (বার), এসজিপি, এনডিসি, পিএসসি, এমফিল বলেছেন, ২১ নভেম্বর জাতির ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা যুদ্ধের গতিকে ত্বরান্বিত করতে সম্মিলিত আক্রমণ সূচিত হয়। এর ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা অর্জন করি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ-বাংলাদেশ। তিনি বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় পর্যায়ে যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, জঙ্গি দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন গঠনমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।
১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী গতকাল মঙ্গলবার সিলেট সেনানিবাসে মহান সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সিলেট সেনানিবাসে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে মহান সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে সিলেট সেনানিবাসে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের ৩০৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
১৭ পদাতিক ডিভিশন ও সিলেট এরিয়া আয়োজিত বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আগত বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী, ওএসপি (বার), এসজিপি, এনডিসি, পিএসসি, এমফিল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। বাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তির সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করতে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বীর শহীদদের। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সিলেট অঞ্চলের মানুষের অসীম সাহসিকতা, সহযোগিতা এবং বীরত্বপূর্ণ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিলেট অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল বীর শহীদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানান। এছাড়াও তিনি আগত সকল মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পরে তিনি খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, সশস্ত্র বাহিনীর প্রাক্তন সদস্যগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।