বন্ধু ফাউন্ডেশনের এডভোকেসি সভায় বক্তারা
হিজড়া ও লিঙ্গ বৈচিত্রময় জনগোষ্ঠী উন্নয়নে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ৮:১৮:২৭ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার: “হিজড়া ও লিঙ্গ বৈচিত্রময় জনগোষ্ঠী কারা এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকার অভাবে এখনো এই জনগোষ্ঠীর সবাইকে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা যাচ্ছে না। অনেক আছে যারা পড়ালেখা করতে চায় হিজড়া কালচার মানেনা এবং ঐ কালচারে থাকতেও চায় না। কিন্তু কালচারে না থাকার জন্য তাদের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরী হয় এবং তারা অনেক সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত। এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে তাদের ব্যাপারে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।”
গতকাল বুধবার সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হল রুমে আয়োজিত এডভোকেসি সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। হিজড়া ও লিঙ্গ বৈচিত্রময় জনগোষ্ঠীর এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক এই এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির, দ্য গ্লোবাল ফান্ড প্রকল্পের আয়োজনে এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা: মনিসর চৌধুরী।
আলোচনায় অংশনেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: জন্মেজয় দত্ত ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক এআরটি সেন্টারের ফোকাল ডা: আবু নঈম মোহাম্মদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: স্বপ্নীল সৌরভ রায়।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র প্রধান কার্যালয় দ্য গ্লোবাল ফান্ড প্রকল্পের টীম লিডার নারায়ণ চন্দ্র সরকার। মুক্তালোচনায় অংশনেন বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র প্যানেল আইনজীবী সত্যজিত দাস, দৈনিক বণিক বার্তা সিলেট ব্যুারো প্রধান ও দৈনিক সিলেটের ডাক এর সিনিয়র রিপোর্টার নূর আহমদ। সভার বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন বন্ধু সিলেট ড্রপ-ইন-সেন্টার ম্যানেজার মোঃ জহিরুল ইসলাম। আরো আলোচনায় অংশনেন আশার আলো যুব কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মাহফুজ আলম ও হিজড়া যুবকল্যাণ সংস্থার সভাপতি মিস সুক্তা।
বক্তারা বলেন, “অপবাদের ভয়ে তারা নিজেদেরকে লুকিয়ে রাখে এবং এই লুকিয়ে থাকার জন্য তারা শিক্ষা হতে বঞ্চিত ও জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি থেকেও বঞ্চিত। এক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে যারা এ জনগোষ্ঠীর সদস্য এবং যাদের পড়ালেখা আছে তাদেরকে এগিয়ে আসা।” তারা আরো বলেন, “কলঙ্ক ও অপবাদের ভয়ে যারা নিজেদেরকে লুকিয়ে রাখছে, তাদেরকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা এবং সমাজসেবা কার্যালয়ের সাথে সমন্বয় করে জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা এখন অত্যন্ত জরুরী।”