প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ৮ ডিসেম্বর
সিলেট বিভাগে ২ হাজার পদের বিপরীতে ৫২ হাজার আবেদন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ৮:১৪:২২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। সিলেট অঞ্চলে প্রাথমিকে ২ হাজার সহকারী শিক্ষকের শুন্য পদের বিপরীতে ৫২ হাজার ৪৭০ জন চাকুরি প্রত্যাশী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। পরীক্ষায় প্রতি পদের বিপরীতে লড়ছেন ২৬ জন। অন্যদিকে সিলেট অঞ্চলে ১ হাজার ১৬০ টি স্কুলে নেই প্রধান শিক্ষক। ভারপ্রাপ্ত দিয়েই চলছে এসব স্কুলের কার্যক্রম।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় অফিস জানায়, সিলেট বিভাগের চার জেলার ৫ হাজার ৫৪ টি বিদ্যালয়ে মোট ৩ হাজার ১২৪ জন শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১৬০টি প্রধান শিক্ষক ও ১ হাজার ৯৬৪ টি সহকারী শিক্ষকের পদ খালি। এছাড়া বিভাগের ৪ জেলায় অফিস সহকারী, এমএলএসএস ও নৈশপ্রহরী সহ আরো সহ¯্রাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারীর পদ খালি রয়েছে। সূত্র জানায় এই হিসেব চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত। উপজেলাগুলোতে শুন্য পদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। বছরের শেষের দিকে এর সংখ্যা বাড়বে।
জেলাওয়ারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সিলেট জেলায় ৭ হাজার ৮৬৫ টি সহকারী শিক্ষক পদের বিপরীতে শুন্য রয়েছে ৬৭০ টি, সুনামগঞ্জে ৭ হাজার ২৫৪ টি পদের বিপরীতে শুন্য রয়েছে ৭৫১ টি, হবিগঞ্জে ৫ হাজার ৩২৪ টি পদের বিপরীতে শুন্য রয়েছে ২৪৬ টি ও মৌলভীবাজারে ৫ হাজার ৩৩৮ টি পদের বিপরীতে ২৯৭ টি সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। এছাড়া সিলেট বিভাগে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে ১ হাজার ১৬০ টি। এরমধ্যে
সিলেট জেলায় ৩৩৫ টি, সুনামগঞ্জে ৩১০ টি, হবিগঞ্জে ২১৯ টি ও মৌলভীবাজারে ২৯৬ টি।
এ ব্যাপারে সিলেট বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপ পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, অবসরজনিত কারণে প্রতিমাসেই সহকারী শিক্ষকের পদ শুন্য হয়ে থাকে। তবে জুলাই থেকে নতুন শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় শুন্যপদ আরো বেড়েছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিতে আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি নিয়োগ উত্তীর্ণদের মাঝ থেকে শিক্ষকের শুন্যতা পূরণ হবে।
জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সিলেট বিভাগে ১ হাজার ৯৬৪টি সহকারী শিক্ষকের শুন্যপদের বিপরীতে এবার আবেদন করেন ৫২ হাজার ৪৭০ জন পরীক্ষার্থী। এরমধ্যে সিলেট জেলায় ১২ হাজার ৯৫৫ জন, সুনামগঞ্জ জেলায় ১৫ হাজার ১০৭ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ১৩ হাজার ৬৪১ জন ও মৌলভীবাজার জেলায় আবেদন করেন ১০ হাজার ৭৬৭ জন।