সিলেটে বিভাগীয় পুরোহিত-সেবাইত সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার উন্নয়ন করছে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫১:০১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার উন্নয়ন করছে। এ দেশটা সবার, সবাইকে নিয়েই আমাদের স্বপ্ন। সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাকে অসাম্প্রদায়িক ও আরো সমৃদ্ধশালী অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, যেখানে অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা-সেবা সবার সাধ্যের মধ্যে থাকবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সে উদ্দেশ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন।
গতকাল শনিবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বাস্তবায়িত ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের (২য় পর্যায়) সিলেট বিভাগীয় পুরোহিত-সেবাইত সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, কাউকে পিছনে না রেখে সবাই মিলেই উন্নয়নের মহাসড়কে আমাদের যাত্রা। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে শত ত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করেছি, একটি সংবিধান পেয়েছি। পবিত্র সংবিধানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকল মানুষের সমান অধিকারের কথাসহ সকল বিষয় সরকার অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। এ মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সবাই নিজ নিজ ধর্ম-কর্ম করে আসছে। এদেশ আমাদের গর্বের ও অহংকারের।
ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক শিখা চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হোসাইন মো. আল-জুনায়েদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ দাশ, হিন্দু কল্যাণ বোর্ডের ট্রাস্টি অশোক মাধব রায় ও ইঞ্জিনিয়ার পি. কে. চৌধুরী এবং হিন্দু কল্যাণ বোর্ডের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল।
প্রয়াত বড় ভাই আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী থাকাকালে হিন্দু ধর্মের কল্যাণে প্রায় আড়াই শত কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সুখের বিষয় এ আড়াই শত কোটি টাকার মধ্যে আমার সিলেট সদরে সিলেট-১ আসনে ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। সিলেট মহানগরের ১৭টি মন্দিরে প্রত্যেকটি মন্দিরের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়। আর সিলেট সদরের চারটি মন্দিরকে দশ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।
মহাত্মা গান্ধীর জীবনী গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃত করে তিনি ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করে বলেন, প্রশিক্ষণে যাতে অন্যান্য ধর্মের মর্মবস্তু নিয়েও আলোচনা করা হয় এবং দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-রাজনীতি সম্পর্কেও পুরোহিত সেবাইতদের জ্ঞান দেওয়া হয়। তাতে সহমর্মিতা বাড়বে- একে অপরের প্রতি বিশ্বাস বাড়বে । যার ফলে মারামারি-কাটাকাটি কম হবে। বিশ্বাস করতে হবে সব মানুষ এক ঈশ্বরের সৃষ্টি। একারণেই আমাদের বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে জানা এবং বোঝার যথেষ্ট প্রয়োজন আছে।