একই দিনে প্রাথমিক ও ব্যাংকে চাকরির পরীক্ষা, বিপাকে প্রার্থীরা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১:১৭:০৯ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : আগামী ৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ধাপের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। এই ধাপে তিনটি বিভাগের (রংপুর, সিলেট ও বরিশাল) পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৩ লাখ ৬০ হাজারের বেশি চাকরিপ্রত্যাশী।
একই সময়ে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে সমন্বিত ১০ ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদের লিখিত পরীক্ষা। ৯২২টি পদের বিপরীতে সারা দেশ থেকে এতে অংশগ্রহণ করবেন সাড়ে ১০ হাজারের অধিক প্রার্থী।
একই দিনে দুটি চাকরির পরীক্ষা থাকায় বিপাকে পড়েছেন দেশের তিন বিভাগের প্রার্থীরা। একটি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ও আবেদন করেও সাড়া না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তারা।
পরীক্ষা জটিলতা নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ১২ জন প্রার্থী। তাদের দাবি, এই তিন বিভাগ থেকে অন্তত তিন হাজার প্রার্থী এই দুই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য উৎসুক হয়ে আছেন।
ইতোমধ্যে এক হাজার প্রার্থী একটি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে একটি অনলাইন গ্রুপে একমত পোষণ করেছেন।
তারা জানান, যেহেতু ব্যাংকের পরীক্ষার সময়সূচি পরে দেওয়া হয়েছে তাই এই পরীক্ষা অন্তত একদিন পেছানোর দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
রংপুরের নিয়োগ প্রত্যাশী সোহাগ রানা বলেন, বর্তমান চাকরির বাজার খুবই কঠিন হচ্ছে। এতো প্রতিযোগিতা করে যেখানে প্রিলিতে উত্তীর্ণ হলাম, অথচ একই দিনে দুই পরীক্ষার কারণে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা খুবই বেদনাদায়ক।
আমাদের মতো বেকারদের জন্য এই কষ্ট আরো বেশি। প্রাথমিকে বিশাল জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে, ফলে এর গুরুত্ব কম না।
অপর এক প্রার্থী মোস্তফা কামাল বলেন, পরীক্ষা দুটি আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বয়স ৩০ এর বেশি হয়ে গেছে, এরপর এসব পরীক্ষায় আর অংশগ্রহণ করতে পারব না। ব্যাংক ও প্রাথমিকে বিশাল নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে, একটি পরীক্ষা দিয়ে তো চাকরি নিশ্চিত করা সম্ভব না।
নারীদের সমস্যা আরো প্রকট জানিয়ে প্রার্থী সায়মা সুলতানা কেয়া বলেন, প্রাথমিকে নারীদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটা আছে। আবার অবরোধ কর্মসূচির মধ্যেও ব্যাংকের প্রিলি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। আমি কোনো পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না। আমার মতো অনেক নারী অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেও একটি চাকরির প্রত্যাশায় সংসার জীবন শুরু করতে পারছে না।
এ বিষয়ে কথা বলতে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের পরিচালক মো. সাঈদুর রহমান খানকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।