সিলেটসহ সারাদেশে মাঝারি মাত্রার ভূ-কম্পন অনুভূত
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ৮:১৯:২৭ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি মাত্রার ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে, সিলেটের কোথাও জানমালের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি পোশাক কারখানার ভবন ধসে পড়ার গুজবে পদদলিত হয়ে অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে ভূ-কম্পন অনুভূত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ কেন্দ্র (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূ-কম্পনটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫।
অন্যদিকে ভূ-কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬ ছিল জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূ-কম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বলছে, ঢাকা থেকে ৮৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে কুমিল্লার রামগঞ্জে ছিল এর উৎপত্তিস্থল। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৫ কিলোমিটার গভীরে এর কেন্দ্র ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূ-কম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূ-কম্পনের তথ্য জানিয়েছিলাম। কিন্তু পরে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায় রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৫ দশমিক ৬।
এদিকে, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভূ-কম্পনে আতঙ্কিত হয়ে একটি পোশাক কারখানা থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, হঠাৎ ভূ-কম্পনে ভবন কেঁপে উঠলে আমির শার্টস গার্মেন্টসের শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি করে নামার চেষ্টা করেন। এ সময় কারখানার প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে ভবনটি ধসে পড়েছে। এতে অন্য শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পদদলিত হয়ে অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
আমির শার্টস গার্মেন্টসের এইচআর কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ভূ-কম্পনের সময় আমি নিজেই মাইকিং করছিলাম কেউ যেন আতঙ্কিত না হয়। এ সময় কেউ একজন বলে উঠলো ভবনে ফাটল ধরেছে। এ সময় শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে বের হতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ২০-২৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। আমরা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, আহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৫ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বে থাকা কমিউনিটি হেলথের উপ-সহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা সোলাইমান বাদশা বলেন, কারখানায় আহত হওয়া মোট ৭৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।