কোম্পানীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় দুইপক্ষের মারামারি, নিহত ১
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১:৩৮:২৩ অপরাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : কোম্পানীগঞ্জে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারামারির সময় আব্দুল্লাহ (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার সকালে উপজেলার সুন্দাউরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি সুন্দাউরা গ্রামের মৃত আয়াত উল্লাহর পুত্র। তিনি উপজেলার দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে স্থানীয় হায়দরি বাজারে একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠা নিয়ে সুন্দাউরা গ্রামের মতিন ও পূর্ণাছগাম গ্রামের রুহুল বিবাদে জড়ায়। এক পর্যায়ে রুহুলের পক্ষের লোকজন মতিনকে মারধর করে। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন তাদের নিভৃত করেন। পরে ঘটনাটি গ্রাম পর্যায়ে গড়ায়। এ ঘটনার জেরে গত রোববার সকাল ৮টায় সুন্দাউরা ও পূর্ণাছগাম গ্রামের লোকজন মুখোমুখি হয়। এক পক্ষ-অপর পক্ষকে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এসময় সুন্দাউরা গ্রামের আব্দুল্লাহ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী চম্পা বেগম জানান, মারামারির সময় তাঁর স্বামীকে কিছু লোক ডেকে নিয়ে যায়। প্রতিপক্ষের ছোঁড়া ইট ও পাথরের আঘাতে মাটিতে পড়ে গেলে তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ইমাদ ও ইউনিয়ন সদস্য আলী হোসেন জানান, দুইপক্ষকে থামাতে গিয়ে ঘটনাস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়েন আব্দুল্লাহ। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান তিনি।
এদিকে, সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক শফিউল। তিনি জানান, আব্দুল্লাহ স্ট্রোক করেও মারা যেতে পারেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি হিল্লোল রায় বলেন, তিনি সংঘর্ষে নাকি স্ট্রোক করে মারা গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।