বাস্তবায়িত হচ্ছে সুনামগঞ্জসহ ৯ জেলায়
স্থানীয় অভিযোজন চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার পেলো এলজিআরডির লজিক প্রকল্প
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ৪:৩১:৪৩ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : দুবাইতে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের (কপ-২৮) ৬ষ্ঠ দিনে ‘দি লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড’স (স্থানীয় অভিযোজন চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার) পেলো বাংলাদেশের লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) প্রকল্প। গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ) ‘ইনোভেশন ইন ফিন্যান্স’ ক্যাটাগরিতে এবার বাংলাদেশকে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।
সারাবিশ্বের ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের প্রায় ৫ শতাধিক প্রতিযোগীর মধ্য থেকে লজিক এ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মেক্সিকো ও তানজানিয়া এবার অন্য তিন ক্যাটাগরিতে জলবায়ু অভিযোজনের পুরস্কার লাভ করে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে পরিচালিত লজিক প্রকল্প বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সুইডেন, ইউনিসিডিএফ ও ইউএনডিপির একটি যৌথ প্রয়াস।
অসামান্য ও উদ্ভাবনী পদ্ধতির জন্য লজিককে জিসিএ’র সিইও প্যাট্রিক ভারকুইজেন ও জুরি বোর্ডের সদস্যরা অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করেছেন বলে সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়।
বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূল অঞ্চলের মানুষের দুয়ারে জলবায়ু অভিযোজনের সুফল পৌঁছে দিতে সরকার ও উন্নয়ন অংশীদার সংস্থাগুলোর জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে স্থানীয় সরকারের উদ্যোগ শীর্ষক প্রকল্প হচ্ছে লজিক। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলাসহ বাংলাদেশের ৯টি জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে এ প্রকল্প। বাকি জেলাগুলো হচ্ছে-কুড়িগ্রাম, খুলনা, বাগেরহাট, ভোলা, পটুয়াখালি, বরগুনা, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এরই মধ্যে ২০ লাখ লোক উপকৃত হয়েছে এবং প্রায় ৪ লাখ পরিবার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলায় সক্ষম।
এ প্রসঙ্গে এলজিআরডি সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘ইনোভেশন ইন ফিনান্স’-এ এই পুরস্কার আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও এগিয়ে নিতে এবং উদ্ভাবনী আর্থিক কৌশলগুলো অন্বেষণ ও বাস্তবায়নে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আরো গতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর করবে। তিনি বলেন, লজিককে আমরা মডেল হিসেবে গড়তে চাই, যাতে বিশ্বব্যাপী এটি বিস্তৃত হয়। তিনি একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে অর্থের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ফজলে আজিম বলেন, “বাজারে প্রবেশাধিকার এবং অর্থায়নের সুবিধার মাধ্যমে, প্রকল্পটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়গুলোকে অভিযোজনের অনুশীলন, আয়ের উৎসগুলোকে বৈচিত্র্যময় করা এবং জলবায়ু সহনশীল জীবিকায় বিনিয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে।
পারফরমেন্স বেজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স গ্রান্ট (পিবিসিআরজি) ও কমিউনিটি রেজিলিয়েন্স ফান্ড (সিআরএফ) স্কিমের আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ৪ লাখ মানুষকে সহয়তা করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয় বলে জানিয়েছে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সূত্র।