বেলার কর্মশালায় বক্তাদের অভিমত
জনসংখ্যার চাপ, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়ন নিয়ন্ত্রণ জরুরি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ৫:০২:৪১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ‘জনসংখ্যার চাপ, যানবাহনের আধিক্য ও অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়নের ফলে অসহনীয় হয়ে উঠছে পরিবেশ। হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। এ অবস্থায় আমাদের চারপাশের বায়ু, পানি ও অন্যান্য সব ধরনের দূষণ কমাতে সবুজায়নের বিকল্প নেই। তাই আরও বেশি বেশি করে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গাছ লাগাতে হবে। সবুজায়নের জন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’
গতকাল বুধবার ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও জনস্বাস্থ্য’ বিষয়ক সিলেট বিভাগীয় কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
নগরীর একটি অভিজাত হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আয়োজিত কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
কর্মশালায় পরিবেশ দূষণের নানা কারণ এবং এর প্রতিকার নিয়েও আলোচনা হয়। কর্মশালায় বক্তব্য দেন- সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রফেসর ড. মোতাহার হোসেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেষ্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. রোমেল আহমদ, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারি পরিচালক বদরুল হক, সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের উপ পরিচালক মোহাম্মদ খায়ের উদ্দিন মোল্লা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দিয়ে ডিজিটাল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণগুলো তুলে ধরেন বেলা’র বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার। পরে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা ৬টি ভাগে গ্রুপ ওয়ার্ক ও দলীয় উপস্থাপনা করেন। এসময় জলবায়ু পরিবর্তন ও জনস্বাস্থ্যের উপর মুক্ত আলোচনাও করেন। এতে অংশ নেন বিভাগের চার জেলার জলবায়ু পরিবর্তন ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন চিকিৎসক, সাংবাদিক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও উন্নয়ন কর্মী সহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় সবুজায়নে গুরুত্ব দিলে তা দূষণ কমানোর পাশাপাশি দেশের সার্বিক উন্নয়নেও অবদান রাখবে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সরকারের একাধিক সেক্টরে নানা কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। পাশাপাশি নীতিমালা প্রণয়ন প্রয়োজন। দুর্যোগ মোকাবিলায় সবাইকে কাজ করতে হবে সমন্বিতভাবে।’