শাবিতে চুক্তিস্বাক্ষর
মাসে ৫০ হাজার টাকা পাবেন একজন পিএইচডি শিক্ষার্থী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১:৩৬:৩০ অপরাহ্ন
শাবি প্রতিনিধি : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রিমিয়াম ফিশ এন্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি (এফইটি) বিভাগের একজন পিএইচডি শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে ৩ বছর পর্যন্ত গবেষণা অনুদান দেয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ এর সভাকক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন। এ চুক্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন এবং প্রিমিয়াম ফিশ এন্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহাবুবুল আলম চৌধুরী স্বাক্ষর করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব এপ্লাইড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজা সেলিম, এফইটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান, প্রিমিয়াম ফিশ এন্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান কল্লোল আহমেদ, উপদেষ্টা সালেহ আহমেদ প্রমুখ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য বলেন, আজকে শাবি’র জন্য একটি আনন্দের দিন। কারণ স্বাক্ষরিত এ চুক্তির মাধ্যমে প্রিমিয়াম ফিশ এন্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এফইটি বিভাগের একজন পিএইচডি শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা গবেষণা অনুদান ৩ বছর পর্যন্ত প্রদান করবে। উন্নত বিশ্বে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে। আমাদের দেশেও এরকম চর্চা শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একজন শিক্ষার্থী দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হলেও আমি আশা করি সামনের দিনগুলোতে এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।
এ বিষয়ে এফইটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, প্রিমিয়াম ফিশ এন্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এফইটি বিভাগের একজন পিএইচডি শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করে তিন বছরের জন্য প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এতে করে একজন শিক্ষার্থী একদিকে মনোনিবেশ করে পিএইচডি সম্পন্ন করতে পারবে। আগামী বছর থেকে প্রতিবার একজন শিক্ষার্থীকে একই প্রক্রিয়ায় টাকা দেয়ার অনুভূতিও ব্যক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।