মৃত গরু নিয়ে ইউএনও কার্যালয়ের সামনে কৃষকরা
মাধবপুরে সিসা তৈরির কারখানার নির্গত রাসায়নিক পদার্থ খেয়ে ১২ গরুর মৃত্যু
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১:৪১:১৩ অপরাহ্ন
![<span style='color:#000;font-size:18px;'>মৃত গরু নিয়ে ইউএনও কার্যালয়ের সামনে কৃষকরা</span><br/> মাধবপুরে সিসা তৈরির কারখানার নির্গত রাসায়নিক পদার্থ খেয়ে ১২ গরুর মৃত্যু <span style='color:#000;font-size:18px;'>মৃত গরু নিয়ে ইউএনও কার্যালয়ের সামনে কৃষকরা</span><br/> মাধবপুরে সিসা তৈরির কারখানার নির্গত রাসায়নিক পদার্থ খেয়ে ১২ গরুর মৃত্যু](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2023/12/dak-news-3-768x477.jpg)
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : হবিগঞ্জের মাধবপুরে অবৈধ সিসা তৈরির কারখানার নির্গত ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের পানি পান করে গত ১ সপ্তাহে ১২টি গরুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামের বেশ কিছু প্রান্তিক চাষী তাদের মৃত একটি গরু সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
কয়েক মাস আগে বুল্লা বাজারের অদূরে পুরানো ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরির একটি কারখানা গড়ে উঠে। কারখানায় পরিত্যক্ত ব্যাটারির ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পানি পার্শ্ববর্তী খাল ও গো-চারণ ভূমিতে গিয়ে পড়ে। এসব পানি গবাদি পশু খেয়ে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১২টি গরুর মৃত্যু ও বেশ কয়েকটি গরু রোগাক্রান্ত হয়। চাষাবাদের উপযুক্ত মৌসুমে গরুর মৃত্যু নিয়ে কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দিশেহারা কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভও দেখা দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন কৃষক বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত গরু ও একটি অসুস্থ গরু নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাযার্লয়ের সামনে হাজির হয়। আর ক্ষতিকারক সিসা কোম্পানিকে দায়ী করে একটি অভিযোগ দেন।
গ্রামবাসী জানান, গো-চারণ ভূমির গ্রামের আশপাশের খালে ছড়াচ্ছে কোম্পানির ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধির কাছে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা হয়নি। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে তাজুল মিয়ার ৩টি, সোলাইমান মিয়ার ৪টি, নুর ধনের ১টি, সৈয়দ মিয়ার ১টি, নয়ন মিয়ার ১টি, মরম আলীর ১টি গরু সহ ১২টি গরু মারা যায়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বেগ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গরুগুলো লেড পয়জনিং এর কারণে মারা যেতে পারে। পেটে বিষক্রিয়া হয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গরুগুলো মারা যায়। পয়জনিং এর উৎস বন্ধ করতে না পারলে এর ভয়াবহতা আরো বাড়বে।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহসান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত করে শিগগির আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাবেক ইউপি সদস্য জলিল মিয়া জানান, গাইবান্ধার নাজমুল নামে জনৈক ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে আমার জায়গায় কোম্পানিটি পরিচালনা করছে।