সিলেটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, জনজীবনে স্থবিরতা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন
![সিলেটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, জনজীবনে স্থবিরতা সিলেটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, জনজীবনে স্থবিরতা](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2023/12/dak-4-768x460.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার : ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে সিলেটের জনজীবন ভোগান্তিতে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে নিজ কর্মে যেতে হয়েছে এসব মানুষদের। তাছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় স্কুল-কলেজে যেতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। বিপাকে পড়েন অফিসগামী লোকজনও।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদিনে সিলেটে ১২ মিলিমিটার বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ২৩ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২১ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জানা গেছে, গতকাল বৃষ্টির প্রভাবে মানুষজন খুব একটা রাস্তায় বের না হলেও সিলেট নগরীর কিছু কিছু জায়গায় চৌরাস্তার মোড়ে লোকজনের জটলা ও যানজট দেখা গেছে। তবে, জিন্দাবাজার, সুবিদবাজার, বন্দরবাজার, শিবগঞ্জ, জেলরোড ও আম্বরখানা পয়েন্টসহ প্রধান সড়কগুলোতে অন্য দিনের তুলনায় লোকজন কম দেখা গেছে। শেখঘাট জিতু মিয়ার পয়েন্ট, কোর্ট পয়েন্ট ও বন্দরবাজারসহ কয়েকটি ব্যস্ততম এলাকায় মানুষের তুলনায় সিএনজি ও লেগুনার জটলাই বেশি দৃশ্যমান ছিল।
এদিকে, একদিকে যেমন ঠান্ডার প্রভাব অন্যদিকে জেলাজুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের ফলে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েন নিম্ন আয়ের মানুষসহ আমন চাষিরা। ঠান্ডা ও বৃষ্টির কারণে খেটে খাওয়া মানুষদের অনেকেই কাজে যেতে পারেননি। সেই সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে আমন ধান মাড়াইয়েও বাধার সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কৃষকদেরও।
সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার ফুটপাতের কাপড় দোকানদার আলিম উদ্দিন বলেন, হরতাল-অবরোধের জন্য আমাদের ব্যবসা এমনিতেই খারাপ যাচ্ছে। তবুও যা হতো বৃষ্টির কারণে ক্রেতাশূণ্য থাকায় এ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছি।
রিকশা চালক আবদুল খালেক জানান, বৃষ্টি হওয়ায় রিক্সার যাত্রী নেই বললেই চলে। সারাদিন বসে আছি। যাত্রী কম থাকায় বাসার জন্য চালও কিনতে পারিনি।
আব্দুল্লাহ নামে একজন শ্রমিক বলেন, বৃষ্টির জন্য তো বাসায় বসে থাকলে চলবে না। বাজার খরচ করতে হবে। এজন্য কাজের জন্য বের হয়েছি।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, আজ শুক্রবার বৃষ্টি অবশ্য কমে আসবে। বৃষ্টির কারণে শীত অনুভূত হতে পারে খানিকটা। বৃষ্টি চলে যাওয়ার দুই দিন বাতাসে আর্দ্রতা থাকবে। তাই তাপমাত্রা কমবে না তেমন। তবে দুই দিনের মধ্যে আর্দ্রতা কমে গেলে সোমবার থেকে শীত বাড়তে পারে।