বর্ণিল আয়োজনে বঙ্গবীর ওসমানী স্বর্ণপদক প্রদান
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ৫:৫৭:৫৫ অপরাহ্ন

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান বলেছেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হলে বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীকে জানতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। ১ম বঙ্গবীর ওসমানী স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিলেট মহানগরীর নাইওরপুলে অবস্থিত ওসমানী জাদুঘর প্রাঙ্গনে শনিবার বঙ্গবীর ওসমানী গবেষণা ইনষ্টিটিউট এর উদ্যোগে বঙ্গবীর ওসমানী স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
বঙ্গবীর ওসমানী গবেষণা ইনষ্টিটিউট এর মহাসচিব মো. জিয়ারত হোসেন খান ও রুনা সুলতানার যৌথ সঞ্চালনায় এবং বঙ্গবীর ওসমানী গবেষণা ইনষ্টিটিউট এর চেয়ারম্যান ও যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন দেশবরেণ্য কবি কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান মানিক এবং যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা জামাল পাশা। এবছর মোট ৩ জন গুণী ব্যক্তিকে বঙ্গবীর ওসমানী স্বর্ণ পদক প্রদান করা হয়। পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে মরণোত্তর স্বর্ণপদক পেয়েছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার মরহুম ডা. এ. মালিক। এছাড়াও স্বর্ণপদক পেয়েছেন সাবেক সচিব, লেখক ও কবি এ. এইচ মোফাজ্জল করিম এবং লেখক, গবেষক ও ভাষাসৈনিক প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজ। অনুষ্ঠানে মরণোত্তর স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ডা. এ মালিকের জীবন বৃত্তান্ত পাঠ করেন সিলেট বি এম এর সভাপতি ডা. শামিমুর রহমান, স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত অন্য দুইজন গুনী ব্যক্তির জীবনী পাঠ করেন সিলেট প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আব্দুল কাদের তাফাদার ও আইনজীবী চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ। এসময় মরহুম ডা. এ. মালিকের পক্ষে মরণোত্তর স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন তাঁর দুইপত্র মাসুদ মালিক ও মঞ্জুর মালিক।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সিলেটের ইতিহাসে সর্বপ্রথম ওসমানী গ্রান্ড এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান হওয়ায় পুরো সিলেট বিভাগের মানুষ গর্বিত এবং পুলকিত। বঙ্গবীর ওসমানী গবেষণা ইনষ্টিটিউট কর্তৃক গ্রান্ড এওয়ার্ড প্রদান যেন চলমান থাকে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
পদক প্রদান শেষে, বঙ্গবীর ওসমানী বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতায় ৩ টি বিভাগে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার পেয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক খান রচিত এবং প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ বীর মুক্তিযোদ্ধা হিমাংশু বিশ্বাস এর সুরে ও নির্দেশনায় ওসমানী সংগীত পরিবেশন করেন গাজী আফরোজা বিথী, অর্পিতা তালুকদার, সন্দীপন শুভ, পল্লবী দাস মৌ, সুজিত তালুকদার আশীষ সেন, পুস্পিতা তালুকদার, সুষ্মিতা তালুকদার এবং তীর্থ দেব। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন ক্বারী আব্দুল হক।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা উমেশ বৈদ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম, কবি ইশরাক জাহান জেলী, কবি সেনোয়ারা আক্তার চিনু, কবি সিপারা সিপা এবং ফুলকলি সিলেটের জি এম জসিম উদ্দিন, চ্যানেল এস টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক আব্দুল মালিক জাকা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।-বিজ্ঞপ্তি