রাগীব-রাবেয়া মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. রমা বিজয় সরকার
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিক হতে হবে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪৯:০১ অপরাহ্ন
শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে : দানবীর ড. রাগীব আলী
ডাক ডেস্ক : রাগীব-রাবেয়া বৃত্তি পরিষদের উদ্যোগে রাগীব রাবেয়া জুনিয়র মেধাবৃত্তি-২০২৩ পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণী গতকাল মঙ্গলবার সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ১০টায় লিডিং ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় সিলেটের ষাটটি কলেজ এবং মাদ্রাসার চারশত পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষায় কৃতী ১০ জন শিক্ষার্থীকে দশ হাজার টাকা থেকে সর্বনিম্ন আড়াই হাজার টাকা ও সার্টিফিকেট এবং পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় একাডেমিক ভবন প্রাঙ্গণে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রমা বিজয় সরকার। সম্মানিত অতিথি হিসেবে লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে লিডিং ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাই উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রমা বিজয় সরকার বলেন, আজকের এ অনুষ্ঠান সত্যিই একটি মহতি উদ্যোগ। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাই বড় প্রাপ্তি, প্রথম হওয়া বড় কথা নয়। তিনি বলেন, পিতা-মাতার কথা মেনে চলে বড় হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ভালো মানুষ হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চেষ্টা করতে হবে। শিক্ষা দিয়েই পরিবর্তন আসে আর এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিক হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে দানবীর ড. রাগীব আলী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আজকের এই মেধাবৃত্তির পুরস্কার তোমাদেরকে ভবিষ্যৎ ভালো মানুষ হওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে। শিক্ষার পাশাপাশি সমাজে একজন উপযুক্ত মানুষ হয়ে তোমাদেরকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। তরুণ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা প্রদান করার জন্য তিনি সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকেও ধন্যবাদ দেন।
অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থী এবং অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং বিজয়ীদের ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ অর্থ প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ।
প্রতিযোগিতায় প্রথম বিজয়ী হিসেবে নগদ দশ হাজার টাকাসহ পুরস্কার গ্রহণ করেন মুরারিচাঁদ কলেজের শিক্ষার্থী সঞ্চিতা দাস আাঁখি। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হন একই কলেজের শিক্ষার্থী জনার্দন রায় প্রমিত এবং ইফতেখার হোসেইন। চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম হন স্কলার্সহোম কলেজের অনন্য পাল, সাদমান সাহাব, তাসফিয়া হোসেন এবং আনিকা তাসনীম মাইশা। অষ্টম হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের সারওয়াদ হাসান, নবম এবং দশম লতিফা শফি চৌধুরী মহিলা কলেজের মিথিলা দত্ত এবং নাসিমা বেগম দিবা।
অনুষ্ঠানে মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উৎসাহমূলক বক্তব্য প্রদান করেন ড. মো. রেজাউল করিম। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রাগীব-রাবেয়া বৃত্তি পরিষদের সভাপতি মো. লোকমান আলী।
অনুষ্ঠানে দিরাই সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক এইচ এম ফারুক, লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রক্টর মো. মাহবুবুর রহমান, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. ফারুক আহমেদ, লিডিং ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তাবৃন্দ এবং রাগীব-রাবেয়া বৃত্তি পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা বুরহান হোসাইন এবং পরিষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৃত্তি পরীক্ষায় সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন রাগীব-রাবেয়া বৃত্তি পরিষদের সভাপতি মো. লোকমান, সহ-সভাপতি এম. আলী হোসাইন, নাসির উদ্দিন, ফয়ছল আহমদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ এখলাছুর রহমান নাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, প্রচার সম্পাদক সাইমুম বিল্লাহ, সহ-প্রচার সম্পাদক কামরান আহমেদ, অফিস সম্পাদক একতার হোসেন।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ছায়া জাতিসংঘের এক্সিকিউটিভ সদস্য শারফুন নাহার।