সিলেটে প্রথম নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আগুন নিয়ে খেলতে গেলে হাত পুড়বেই
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ৮:৩৬:৪১ অপরাহ্ন
#স্মার্ট লোক, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট অর্থনীতি আমাদের লক্ষ্য # সিলেট অঞ্চলের নদ-নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে
# প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ক্বীন ব্রিজের পাশে নতুন ব্রিজ ও আধুনিক হাউজিং এস্টেট গড়ে তোলা হবে
#সিসিকের উদ্যোগে ২৫ তলাবিশিষ্ট আধুনিক কমপ্লেক্স হবে ॥ হবে মেট্রোরেলও
কাউসার চৌধুরী / নূর আহমদ
অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটা অনুরোধ আপনাদের কাছে, আজকে সব জায়গায় বোমাবাজি, অগ্নিসন্ত্রাস এবং আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা এর বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মানুষের জীবন কেড়ে নেবে, মানুষকে ভোট দিতে দেবে না, নির্বাচন বন্ধ করতে বলবে- এত সাহস কোথা থেকে পায়?’
গতকাল বুধবার বিকেলে সিলেটের ঐতিহাসিক আলিয়া মাদরাসা মাঠে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নৌকার প্রথম নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে বুধবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ রেহানা। সিলেটে পৌঁছার পরে প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন। এরপর হযরত শাহপরানের (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে সিলেট সার্কিট হাউজে মধ্যাহ্নভোজ ও বিশ্রাম নেন। বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে জনসভা মঞ্চে আসেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওই লন্ডনে বসে (তারেক রহমান) হুকুম দেয়, আর কতগুলো লোক নিয়ে এখানে আগুন নিয়ে খেলে। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে আগুনেই হাত পুড়ে-এটা তাদের মনে রাখা উচিত।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা মনে করেছে, দুইটা আগুন দিলেই সরকার পড়ে যাবে। এত সহজ না। এতো ভাত দুধ দিয়ে খায় না।’
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. একে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট-৬ আসনের নৌকার প্রার্থী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও অভিনেত্রী তারিন জাহান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী সহ সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। সভা সঞ্চালনা করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান এবং সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন। আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা: মুশফিক হোসেন চৌধুরী, আজিজুস সামাদ ডন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী, সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইনাম আহমদ চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ। বিশাল এই জনসভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সালমান এফ রহমান, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হেলাল এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে বক্তৃতা শুরু করে ৪টা ৫৫ মিনিটে শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সিলেটের উন্নয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সুরমা নদীর ড্রেজিং শুরু হয়েছে। কুশিয়ারাসহ এ অঞ্চলের অন্যান্য নদী ড্রেজিং করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে। হাওরাঞ্চলের জলাবদ্ধতা দূর করার পদক্ষেপ নেয়া হবে। সিলেটে একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ক্বীনব্রিজের পাশে একটি নতুন ব্রিজ এবং সিলেটে একটি আধুনিক হাউজিং এস্টেট গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ২৫ তলাবিশিষ্ট একটি আধুনিক কমপ্লেক্স নির্মাণেরও প্রাথমিক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সিলেটে নতুন রেলস্টেশন নির্মাণের পাশাপাশি সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ছয় লেন এবং সিলেট-বাদাঘাট এবং সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। ওসমানী বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। আধুনিক সিলেট গড়ার কাজ চলছে। সিলেটে মেট্রোরেল চালুরও পরিকল্পনা রয়েছে। একশ’ শয্যার বার্ণ ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, সিলেটের মানুষ সবসময় আমাদের পাশে রয়েছে। আমিও পাশে আছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেটা বাস্তবায়ন করেছি। এখন স্মার্ট বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে আমরা স্মার্ট লোক, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট অর্থনীতি নিশ্চিত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য, সবার জন্য সমান উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
৩৫ মিনিটের বক্তৃতায় নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে জনগণের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই নৌকা নূহ নবীর নৌকা। এই নৌকায় মানবজাতিকে রক্ষা করেছিলেন রাব্বুল আলামিন। এই নৌকায় ভোট দিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। এই নৌকা যখন সরকারে এসেছে তখন বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। আজকে তাই আপনাদের কাছে আমার আহ্বান, আমরা যাদের প্রার্থী দিয়েছি ;তাদেরকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন এটাই আমার আহ্বান। আপনারা দেবেন, বলেন হাত তুলে ওয়াদা করেন। এ সময় উপস্থিত জনতা দুই হাত উচিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন জানান। তিনি আরো বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে শুরু করে সিলেটবাসী আমাদের সঙ্গে আছেন। আমি বারবার সিলেটে এসেছি। আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সিলেটবাসীকে পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আজকে দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বিএনপির আমলে এটি ছিল না। দারিদ্র্য হার ৪১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশে নামিয়েছি। ৮ লাখ ৪১ হাজার মানুষকে ঘর দিয়েছি। ২১ জেলা গৃহহীনমুক্ত করেছি, তার মধ্যে সিলেট অন্যতম। কোনও মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেই লক্ষ্য রেখে কাজ করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মোবাইল ফোন কারও হাতে ছিল না। ’৯৬ সালে আমরা তা নিয়ে এসেছি, সহজলভ্য করেছি। আজকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষ। ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে মানুষ। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সিলেট আমাদের সঙ্গে আছে।’
অনাবাদি জমি ফেলে না রাখার আহ্বান জানিয়ে এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে ব্যাপকভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি। এ ক্ষেত্রে আপনাদের বলতে চাই, কোনও জমি যেন অনাবাদি পড়ে না থাকে। আমাদের দেশে যেন খাদ্যের কোনও অভাব না হয়। তাই সবাই যার যতটুকু জমি আছে, যেভাবে পারেন আপনারা চাষ করুন। ফসল ফলান, উৎপাদন করুন। নিজের খাদ্যের ব্যবস্থা নিজেরা করেন, সেটাই আমরা চাই।’
৩৫ মিনিটের বক্তৃতায় তিনি বলেন, আমরা দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা দিয়েছি। তারা কি দিয়েছে। বারবার সংবিধান লঙ্ঘন ও জাতির পিতাকে হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছে। কোনো কাজ করেনি। শুধু ভোগের জন্য তারা ক্ষমতায় এসেছে।
‘আমেরিকাকে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল-বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমেরিকা আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস ক্রয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলো আমাকে। কিন্তু আমি এতে রাজি হইনি। আমি বলেছি- আমার দেশের জনগণের কল্যাণে এগুলো ব্যবহার করবো। ৫০ বছরের গ্যাস মজুদ রেখে অবশিষ্ট থাকলে বিক্রি করবো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আল্লাহ জন বুঝে ধন দেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকালে যেসব স্থানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গ্যাস পায়নি, আওয়ামী লীগের আমলে সেসব স্থানেই গ্যাসের সঙ্গে তেলও পাওয়া গেছে। বিএনপির আমলে মিললে এসব তারা লুটেপুটে খেতো, কিন্তু এসব সম্পদ জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করছি।’
ওবায়দুল কাদের: জনসভায় বিএনপি ইস্যু নিয়ে হাস্যরসপূর্ণ বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন কী বলে? অসহযোগ আন্দোলন করবে। বানরে সংগীত গায় শিলা জলে ভাসে। সে রকম হলো না? এরা নাকি অসহযোগ আন্দোলন করবে? ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সরদার।’
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘বিএনপি কি আছে? লাল কার্ড। নির্বাচনে আছে ১৮৯৬ জন। এই ১৮৯৬ জন ৭ জানুয়ারি সারা দেশে ৩০০ আসনে খেলবে। জোরদার খেলা হবে।’ তিনি বলেন, ‘খেলা হবে। প্রস্তুত আছেন?’ তখন তিনি প্রশ্ন করেন, ‘বিএনপি কই? উপস্থিত মানুষ বলেন, নাই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন কী বলে? নির্বাচনের পরের পাঁচ দিনে সরকার পতন হয়ে চলে যাবে। কী বলেন বিশ্বাস হয়? ভুয়া। বিএনপিই হলো ভুয়া। তাদের রাজনীতি, অবরোধ আজকের কর্মসূচি অগ্নিসন্ত্রাস ভুয়া। বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে হবে একসঙ্গে। আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুন নিয়ে খেললে নিজেরাই পুড়ে মারা যাবেন। এরা নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলি বাহিনীর চেয়েও নিষ্ঠুর। কী ঘটনা ঘটেছে তেজগাঁওয়ে। মা তার শিশুকে বুকে নিয়ে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। কে করেছে? বিএনপি ও তার সন্ত্রাসীরা।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন: জনসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, আগামীতে ক্ষমতায় গেলে সিলেটে শহররক্ষা বাঁধ হবে। সিলেটে রেলওয়ের উন্নয়ন হবে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছেন। এ কারণে দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। এই শান্তি ও স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে হবে। এজন্য শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার। মন্ত্রী বলেন, আমার বড় ভাই আবুল মাল আবদুল মুহিত যেভাবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে গেছেন, আমিও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে চাই।
সৈয়দা জেবুন্নেসা হক: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেসা হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নারী নেত্রীর গর্ব। যিনি বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। জেবুন্নেসা হক বলেন, আগামী নির্বাচনে সিলেট বিভাগের ১৮টি আসনে নৌকার বিজয় নিশ্চিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ: সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সিলেট থেকে প্রচারণা শুরু করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জনগণকেই ঠিক করতে হবে; উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ঠিক থাকবে, না জ্বালাও পোড়াও চলবে। তিনি সবাইকে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহবান জানান।
ডা: দীপু মনি: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সিলেটের এই আসনে জিতলে বাংলাদেশেও ওই দল জিতে। যখন নৌকা জয়ী হয়; তখন দেশ জয়ী হয়, বাংলাদেশ জয়ী হয়। সিলেটবাসী নৌকাকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিজয়ী করবেন।
মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সিলেটের উন্নয়নে অসমান্য অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের দলীয় প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, প্রতিবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে এই পুণ্যভূমি থেকে প্রচারণা শুরু করলেন। পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছেন স্বাধীনতা আর কন্যা শেখ হাসিনা দিয়েছেন সমৃদ্ধি।
পাকিস্তান গঠনের সময় সিলেটের ঐতিহাসিক রেফারেন্ডামের ইতিহাস তুলে ধরে নাদেল বলেন, রেফারেন্ডামের সময় পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময়ও সিলেটবাসী জাতির পিতার সাথে ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার পাশেও সিলেটবাসী সবসময় আছেন। শেখ হাসিনার হাত ধরে সিলেটের উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি মৌলভীবাজার জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট মৌলভীবাজার জেলাবাসীর পক্ষে দাবি জানান।