সিলেট চেম্বার অব কমার্সের বার্ষিক সাধারণ সভা
অবৈধ হকার উচ্ছেদ ও ভোলাগঞ্জে ইমিগ্রেশন চালুর দাবি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২০:৩০ অপরাহ্ন
দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় চেম্বার কনফারেন্স হলে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ এর সভাপতিত্বে সাধারণ সভায় নবীন উদ্যোক্তদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন অব্যাহত রাখা, ফুটপাতের অবৈধ হকারদের উচ্ছেদ, ক্বীন ব্রীজ দিয়ে মালামাল পরিবহনের জন্য ভ্যানগাড়ি ও অন্যান্য হালকাযান চলাচল চালু রাখা, কালিঘাট ও মহাজনপট্টি এলাকায় রাস্তার ডিভাইডার অপসারণ, পাথর উত্তোলন পুনরায় চালু সহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
সভায় সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি সিলেটের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার আলোকে চেম্বারের পক্ষ থেকে ২১টি প্রস্তাবনা তৈরী করে প্রধানমন্ত্রী সহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে ইন্টার কন্টেইনার ডিপো (আইসিডি) স্থাপন, ইসলামপুরে অবস্থিত বিটিএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন সিলেট টেক্সটাইল মিলের জমি প্লট আকারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের বরাদ্দ প্রদান, সিলেট থেকে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে তাজা শাক-সবজি ও ফলমূল রপ্তানির লক্ষ্যে সিলেটে প্যাকিং হাউজ ও সার্টিফিকেশন ল্যাব নির্মাণ, সিলেট-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ৬ লেনে রূপান্তর, সিলেটে এনআরবি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা, সিলেটের পর্যটন খাতের বিকাশ ঘটাতে ‘সিলেট পর্যটন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠন, শ্যাওলা স্থলবন্দরের নিকটবর্তী স্থানে স্টোন ক্রাশিং জোন স্থাপন, সিলেটে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের লক্ষ্যে নতুন একটি বিসিক শিল্প নগরী স্থাপন, ভোলাগঞ্জ স্থল শুল্ক স্টেশনে ইমিগ্রেশন চালু, বিনিয়োগ ও পর্যটন খাতে সিলেটকে এগিয়ে নিতে রেলসেবার মান উন্নয়ন, সিলেট-ঢাকা ও ঢাকা-সিলেট রুটে বাংলাদেশ বিমানের সান্ধ্যকালীন ফ্লাইট প্রতিদিন চালু ইত্যাদি।
সভাপতি তাহমিন আহমদ সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং সদস্যদের প্রস্তাবনা ও পরামর্শ অনুযায়ী ভবিষ্যতে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভায় আলোচ্যসূচী অনুযায়ী ২০২২ সালের বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন, ২০২৩ সালের বার্ষিক কার্যক্রম ও ২০২২-২০২৩ সালের অডিট রিপোর্ট অনুমোদিত হয় এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের অডিট কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য অডিটর নিয়োগ করা হয়। এছাড়াও সভার সাংগঠনিক আলোচনায় চেম্বারের সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা ৫,০০০ জন থেকে উন্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, সহ-সভাপতি মো. আতিক হোসেন, পরিচালক মো. হিজকিল গুলজার, জিয়াউল হক, হুমায়ুন আহমদ, মুজিবুর রহমান মিন্টু, আলীমুল এহছান চৌধুরী, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (রাজিব), ফাহিম আহমদ চৌধুরী, দেবাংশু দাস, কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. সারোয়ার হোসেন ছেদু, সাবেক সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ, সাবেক সহ-সভাপতি হাজী ইফতেখার আহমদ সোহেল, সাবেক পরিচালক মুকির হোসেন চৌধুরী, সিনিয়র সদস্য আব্দুল মালিক মারুফ, সচিব মো. গোলাম আক্তার ফারুক প্রমুখ। -বিজ্ঞপ্তি