বিশ্বনাথে ইটভাটা শ্রমিকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২৬:২৫ অপরাহ্ন

বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশ্বনাথে নিখোঁজের তিন দিন পর এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তার নাম আমিন মিয়া ওরফে সিয়াম (১৬)। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের করাতকান্দি গ্রামের মো. আবু বকরের ছেলে।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের উত্তর আজিজনগর এফসি ইটভাটা সংলগ্ন হাওর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় ঝোঁপঝাড়ে পড়ে ছিল গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিক্ষত সিয়ামের দেহ। ইটভাটা সর্দার পিতা আবু বকরের সাথেই শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো কিশোর সিয়াম।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেশিন মেকানিক ও ট্রাক্টর চালক’সহ ২ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। তারা হচ্ছে- মেশিন মেকানিক চান্দ আলী (৫৩) ও ট্রাক্টর চালক রবিউল ইসলাম (৪৮)।
নিহত সিয়ামের পিতা আবু বকর জানান, গত বুধবার পাশর্^বর্তী এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে যোগ দেয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয় সিয়াম। পরদিন সকালে কাজে না ফেরায় স্বজনরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। কোথাও কোন সন্ধান না পেয়ে ওইদিনই বিশ^নাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে পিতা আবু বকর।
তিনি অভিযোগ করেন তার ছেলেকে ইটভাটার মেশিনের মেকানিক চান্দ আলী (৪৮) হত্যা করেছে। তিনি জানান, প্রায় ৮/৯দিন পূর্বে ইটভাটার মেশিন মেরামত নিয়ে মেকানিকের সাথে নিহত আমিন আহমদ সিয়ামের কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে মেকানিক একাধিকবার তাকে খুন করবে বলে হুমকিও দিয়েছে। বিষয়টি ইটভাটার ম্যানেজার রফিক মিয়াকে অবগতও করেছেন বাবা আবু বকর। কিন্তু ম্যানেজার গাফিলতি করে বিষয়টি এড়িয়ে যান। অবশেষে তার ছেলেকে লাশ হতে হয়েছে। তিনি তার ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেছেন।
গাফিলতির বিষয়টি অস্বীকার করে ম্যানেজার রফিক মিয়া জানান, উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে বিষয়টি তিনি সমাধান করে দিয়েছেন।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ রমা প্রসাদ চক্রবর্তী জানান, ‘সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আমরা দু’জনকে এনেছি। তদন্ত অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।