ওসমানী বিমানবন্দরে গণশুনানী
অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানের ভাড়া কমানো ও সিলেট-কলকাতা ফ্লাইট চালুর দাবি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ৯:১২:৩৫ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অভ্যন্তরীণ রুটে বাংলাদেশ বিমানের ভাড়া কমানো এবং সিলেট-কলকাতা ফ্লাইট চালুর দাবি উঠেছে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত গণশুনানীতে বক্তারা এ দাবি জানিয়ে সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্লাইট চালু, সিলেট-কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট বাড়ানো এবং যাত্রী হয়রানি বন্ধের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের সেমিনার হলে এ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব ও মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ।
গণশুনানীতে জানানো হয়, বিমানের সিলেট-ম্যানচেস্টার ও সিলেট-হিথ্রো সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার ফলে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভাবমূর্তিকে আরো উজ্জ্বল করেছে। এছাড়া, আজ বুধবার থেকে সিলেট থেকে সরাসরি মদীনা এবং সপ্তাহে দুই দিন (সোম ও বৃহস্পতিবার) সিলেট জেদ্দা সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা-যাত্রীদের জন্য খুবই সহায়ক হবে। বিমান বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি অপারেটর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার কারণে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সমৃদ্ধ বিমানবন্দরে পরিণত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আরো জানান, সিলেট বিমানবন্দরের যাত্রীসেবা দেশের যে কোনো বিমানবন্দরের চেয়ে উন্নত। প্রয়োজনে সেবার মান আরও উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ বলেন, প্রতি তিন মাস পর পর গণশুনানীর আয়োজন করা হয়। এতে উত্থাপিত অভিযোগ ও প্রস্তাব গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় এবং সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সিলেট-কলকাতা ফ্লাইট চালু ও সিলেট-কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনার মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়ার আশ^াস দেন তিনি।
বিমানবন্দরে হয়রানি রোধে যাত্রীদের কিছু পরামর্শ তুলে ধরেন বিমান বাংলাদেশের প্রতিনিধি মো. বোরহান উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, যে কোনো ফ্লাইটের কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হবে। যে কোনো যাত্রায় জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট অথবা জন্মনিবন্ধন সাথে রাখতে হবে। যাত্রার সময় প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র থাকলে হয়রানির শিকার হতে হবে না।
গণশুনানীতে ওসমানী বিমানবন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল গণি, ওসমানী বিমানবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. সহিদুল ইসলামসহ বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তা, আর্মড পুলিশ, ইমিগ্রেশন পুলিশসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ ও বিমানযাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।