মৌলভীবাজার-২: ত্রিমুখী লড়াইয়ে নাদেল-শাহীন-সলমান
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২১:৩২ অপরাহ্ন
![মৌলভীবাজার-২: ত্রিমুখী লড়াইয়ে নাদেল-শাহীন-সলমান মৌলভীবাজার-২: ত্রিমুখী লড়াইয়ে নাদেল-শাহীন-সলমান](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2023/12/sylheter-dak-news-1-768x471.jpg)
কুলাউড়া অফিস : মৌলভীবাজার-২ আসনে তিন প্রার্থীর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে ভোটাররা জানিয়েছেন। তারা হলেন-আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একে এম সফি আহমদ সলমান। এই আসনে সবমিলিয়ে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সরেজমিনে ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-বাজারে, চা স্টল থেকে শুরু করে সর্বত্র এই তিন প্রার্থীকে নিয়েই আলোচনা চলছে। সাধারণ মানুষের কৌতুহল, আলোচনা-সমালোচনা ও ভোটের হিসেব নিকেশ তাদেরকে ঘিরে। ভোটারদের ধারণা, এই তিন প্রার্থীর মধ্যেই ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাদের প্রচার প্রচারণায় তেজিভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এ আসনে নির্বাচনী প্রচারণা বেশ জমে উঠেছে। গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গণসংযোগে। এবার নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীরা বড় বড় জনসভার চেয়ে উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে এবং জন বহুল এলাকায় কর্মী সমর্থকদের দিয়ে সভা-সমাবেশ করে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মহাজোটের শরীক দলের জন্য এই আসনটি ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন সোনালী আঁশ (পাট) নিয়ে মাঠে রয়েছেন। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের শরিক বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একে এম সফি আহমদ সলমান ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি¦তা করতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ ছেড়েছেন। এ
ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন (কাঁচি প্রতীক), ইসলামী ফ্রন্টের এনামুল হক মাহতাব (মোমবাতি প্রতীক), ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আছলাম হোসাইন রাহমানী (মিনার প্রতীক), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আব্দুল মালেক (লাঙ্গল প্রতীক) ও বিকল্পধারার প্রার্থী কামরুজ্জামান সিমু (কুলা প্রতীক) নিয়ে নির্বাচনী মাঠে আছেন।
এবারের নির্বাচনী প্রচারণার লক্ষণীয় বিষয় হলো-প্রার্থীরা পোস্টারের চাইতে লিফলেটকে অধিকতর গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত প্রচারণা নিয়ে কোথাও কোনো গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। এই আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৮৫ হাজার ২১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫০৯ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৩ জন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৩ টি। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য গত নির্বাচনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এবার নির্বাচন করছেন না।