হবিগঞ্জের ৩ আসনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চাপ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১:১৫:১৩ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : হবিগঞ্জ জেলার ৪ আসন নৌকার দখলে থাকলেও এবার ৩ আসনে রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চাপ।
হবিগঞ্জ-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপসম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া স্বতন্ত্র হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে, জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জাপার সভাপতি আব্দুল মুনিম চৌধুরী (বাবু) লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী নৌকা প্রতীক পেলেও পরে দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গাজী শাহনওয়াজ মিলাদের ছোট ভাই কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সাধারণ ভোটাররা জানান, ঈগল প্রতীককেই তারা বেছে নিতে চান। কারণ তাদের আসনটি অনেক অবহেলিত তাদের উন্নয়ন দরকার।
হবিগঞ্জ-২ আসনে নির্বাচনে লড়ছেন ৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল, স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনবারের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসন থেকে জাপার প্রার্থী শংকর পাল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেনে নৌকা ও ঈগলের দুই প্রার্থী। ভোটের মাঠে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। প্রচারেও সরব আছেন এই দুজনই, অন্য প্রার্থীদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে না।
হবিগঞ্জ-৩ আসনে চতুর্থবারের মতো মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় কৃষক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি প্রকৌশলী এম এ মুমিন চৌধুরী বুলবুল। তবে তার প্রচার ও উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে না। এ ছাড়াও আসনটিতে লড়ছেন আরও ৭ প্রার্থী। তাদেরও উল্লেখজনক প্রচার দেখা যাচ্ছে না। জেলায় মেডিকেল কলেজ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য এবারও তিনি নির্বাচিত হবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ভোটাররা।
হবিগঞ্জ ৪ আসনে লড়ছেন ৮ প্রার্থী। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপির নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনিবার্হী কমিটির সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ঈগলের মধ্যে হবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
এ ছাড়া জাতীয় যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহাদ উদ্দিন চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, ইসলামী ঐক্যজোট, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী থাকলেও তাদের নেই তেমন প্রচার-প্রচারণা।
সাধারণ ভোটারদের মতে, এই আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী দুইজনই। নির্বাচনে ভোটের হিসাবনিকাশ হবে তাদের মধ্যেই। স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এরই মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে দুইবার ও মো. মাহবুব আলী একবার শোকজের জবাব দিয়েছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি হবিগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ সদর সবুজ পালের আদালতে।