সিলেটের সব স্থলবন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধের ঘোষণা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ৪:১২:৪৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: প্রায় সাড়ে ৪ মাসের মাথায় আগামীকাল ৮ জানুয়ারি সোমবার থেকে সিলেট বিভাগের সব স্থলবন্দর ও শুল্কস্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন আমদানিকারকরা। আমদানি শুল্ক ও কাস্টমস ডিউটি বৃদ্ধির প্রতিবাদে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
গতকাল শনিবার সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক ও ভোলাগঞ্জ পাথর আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মিন্টু এই তথ্য জানান। এর আগে একই ইস্যুতে গত বছরের ১৬ আগস্ট থেকে ৫ দিন পাথর ও কয়লা আমদানি বন্ধ রেখে ছিলেন আমদানি কারকরা।
জানা যায়, সিলেট বিভাগের তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর ছাড়াও কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ, সুনামগঞ্জের বাগলি, বড়ছড়া ও চারাগাঁও এবং ছাতকের ইছামতি ও চেলা স্টেশন দিয়ে মূলত চুনাপাথর ও বোল্ডার আমদানি করা হয়। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলের পাথর কোয়ারিগুলো বন্ধ থাকায় এই পাথর আমদানিকে কেন্দ্র করেই সচল থাকে সিলেটের বন্দর ও শুল্কস্টেশনগুলো।
ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মিন্টু বলেন, ভারত থেকে পাথর ও চুনাপাথর আমদানির ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু প্রতি মেট্রিক টনে দুই ডলার বৃদ্ধি করে। এই বাড়তি শুল্ক দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হলে আমদানিকারকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই, সিলেটের সবগুলো বন্দর ও শুল্কস্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর পাথর আমদানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে সিলেট বিভাগের সবকটা বর্ডার দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর পাথর আমদানি বন্ধ থাকবে।
এদিকে, ২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট থেকে একই ইস্যুতে আন্দোলনের ডাক দেন সিলেট বিভাগের আমদানিকারকরা। তখন ৫ দিন পর আলোচনার ভিত্তিতে পুনরায় পাথর আমদানি শুরু হয়। সিলেট বিভাগীয় স্থল বন্দর ও শুল্কস্টেশন সমূহের ব্যবসা পরিচালনা সংক্রান্ত কমিটির আহবায়ক এমদাদ হোসেন জানান, ৫ দিন আমদানি বন্ধের পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানিকারকদের সাথে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে আলোচনার ভিত্তিতে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ৭৫ সেন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত নেন আমদানীকারকরা। গত ২ জানুয়ারি পুনরায় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট কার্যালয়ের কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক স্বাক্ষরিত আমদানি পর্যায়ে আদায়যোগ্য শুল্ক কর বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের লক্ষ্যে রাজস্ব পর্যালোচনা সভার কার্যবিবরণী আমদানিকারকদের সংগঠনের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়- বোল্ডার স্টোন প্রতি মেট্রিকটনে ১৩ মার্কিন ডলার, স্টোন চিপস প্রতি মেট্রিকটনে ১৪ মার্কিন ডলার এবং লাইমস্টোন প্রতি মেট্রিকটনে ১৩.৫০ মার্কিন ডলার বা তদুর্ধ্ব মূল্যে শুল্কায়ন করতে হবে। আগামীকাল ৮ জানুয়ারি থেকে সেটি কার্যকর হবে।
এমদাদ হোসেন বলেন, এভাবে চাপিয়ে দেয়া ডিউটি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় আমরা সোমবার থেকে সিলেট বিভাগের সব শুল্কস্টেশন দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বোল্ডার ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমদানি বন্ধ থাকবে।
এ ব্যাপারে কাস্টমস এক্সাইজ ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।