দিরাইয়ে ভূমিখেকোর কবলে শ্মশানের জায়গা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২:৪১:৪৫ অপরাহ্ন
দিরাই (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে কলিদ্রুম গ্রামে এক ভূমিখেকোর কবল থেকে রক্ষা পায়নি শ্মশানের জায়গাও। তিনি অবৈধভাবে শ্মশানের জায়গা দখল করে ধান চাষাবাদ করছেন। বাজিদ উল্লাহ নামের আলোচিত এই ভূমি খেকো ধলআশ্রম গ্রামের মৃত কামিজ উল্লাহর পুত্র।
এ নিয়ে গত রোববার গ্রামবাসির পক্ষে নৃপেন্দ্র দাস উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত বাজিদ উল্লাহ ২০ বছর পূর্বে কলিদ্রুম গ্রামে কিছু জায়গা কিনে বাড়ি করেন। এখন তার বিশাল জায়গা, অধিকাংশ জায়গা অবৈধ দখলে বলে জানা গেছে। তার অবৈধ দখল থেকে রক্ষা পায়নি গ্রামের প্রভাংশু দাস, দেবেন্দ্র দাস ও বজেন্দ্র দাসের মালিকানা জমি।
কলিদ্রুম গ্রামের বেনুদাস, শিরেষ তালুকদার ও মুকুল দাসসহ গ্রামের লোকজন জানান, তাড়ল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে আমাদের গ্রামের ৭০/৭৫টি হিন্দু পরিবার ১৫৭৪ নং দাগের ৭১ শতাংশ ভূমি শ্মশানের জমি হিসেবে ব্যবহার করে আসছি। ভূমি খেকো বাজিদ উল্লা বহুদিন ধরে আমাদের গ্রামের শ্মশান ঘাটের নির্ধারিত ভূমির অনেক অংশ বলপূর্বক ভোগ দখল করে আসছে। আমরা বিভিন্ন সময় লাশ নিয়ে সৎকারের জন্য শ্মশান ঘাটে গেলে আমাদেরকে বাধা নিষেধ করে এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তিনি শ্মশানের ভূমিতে মাটি কেটে ফসলের জমি তৈরি করে চাষাবাদ করছেন। এর প্রতিকার চেয়ে আমরা উপজেলা প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েছি।
অভিযুক্ত বাজিদ উল্লা জানান, আমি কারো জমি দখল করিনি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ এলাকার লোকজন সীমানা ঠিক করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে বৈঠক করেছেন বলে জানান তিনি।
তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহমদ জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি, শ্মশানের জায়গা অচিরেই দখল মুক্ত করে দেয়া হবে।
নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান খোন্দকার জানান, বিষয়টি আমি দেখছি, যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।