দরগাবাজারে রেস্টুরেন্টে নিম্মমানের খাবার, বিপাকে পর্যটকরা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৯:১৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : আধ্যাত্মিক নগরী সিলেটে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটক বেড়াতে আসেন। প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার আসেন কয়েক হাজার লোক। বেড়াতে আসা এই লোকদের প্রায় সকলেই ওলিকুল শিরোমণি হযরত শাহজালাল (রঃ)-এর মাজার জিয়ারতে আসেন। এই মাজারকে কেন্দ্র করে গড়েউঠা দরগাবাজারে রয়েছে বিভিন্ন পণ্যের দোকান। রয়েছে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টও। এসব রেস্টুরেন্টের বেশিরভাগের খাবার স্বাস্থ্যসম্মত নয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। অনেক রেস্টুরেন্টের পরিবেশও নোংরা। সিলেট নগরীর অপরাপর রেস্টুরেন্টের চেয়ে এসব রেস্টুরেন্টের খাবারের দামও বেশি। অধিক দামের কারণে প্রায়ই ক্রেতাদের সাথে রেস্টুরেন্টের স্টাফদের বচসা করতে দেখা যায়। ইদানীং কয়েকটি রেস্টুরেন্টে কৌশলে ক্রেতাদের কাছ থেকে পানির মূল্যের নামে ২০-৪০ টাকা আদায় করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টে খাবারের সাথে জগ কিংবা বোতলে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়। ক্রেতারা চাইলে দেয়া হয়, বিভিন্ন কোম্পানির বিশুদ্ধ পানির বোতল। কিন্তু, দরগাহবাজার এলাকার ‘কাশ্মীরি বিরিয়ানী এন্ড কাচ্চি হাউজ’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট ক্রেতাদের নিজস্ব পানীয় জল সরবরাহ না করে খাবারের টেবিলে নানা নামের বোতল রেখে দেয়। এসব বোতলের ছিপিতে পলিথিনের মোড়ক থাকে না। অনেক সময় কাস্টমাররা এসব বোতলের পানি পান করেন। এ সুযোগে কাস্টমারদের কাছ থেকে পানির মূল্য বাবদ অতিরিক্ত ৪০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে প্রতিদিনই ক্রেতাদের সাথে রেস্টুরেন্ট মালিকপক্ষের বিবাদ লেগেই আছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে একজন ক্রেতা খাবারের বিল দেয়ার সময় বোতলের এক গ্লাস পানি খাওয়ায় তার কাছ থেকে জোরপূর্বক ৪০ টাকা আদায় করা হয়।
‘কাশ্মীরি বিরিয়ানী এন্ড কাচ্চি হাউজ’-এর মালিকপক্ষের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, তাদের রেস্টুরেন্টে খাবারের সাথে পানি সরবরাহ করা হয় না।
একটি সূত্র জানায়, বোতলজাত পানি বিক্রিতে অনেক বেশি লাভ। লাভ বেশি থাকায় ২০-৩০ টাকার নাস্তার সাথে ৪০ টাকার পানির বোতল-এর দাম কৌশলে আদায় করছে অসাধু রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা। দূর-দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকরা তাদের এমন আচরণে সিলেট সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা নিয়ে যাচ্ছেন।
ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি দাম নেয়ার অভিযোগ আমলে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে অভিযান চালানোর পরামর্শ দেন।