ভর্তি কার্যক্রম এ বছর থেকেই শুরু
উদ্বোধনের অপেক্ষায় সিলেটে নতুন স্থাপিত প্রাণিসম্পদ ইন্সটিটিউট
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৭:৩১:১৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের নতুন স্থাপিত ইন্সটিটিউট অব লাইভস্টক (প্রাণিসম্পদ) সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (আইএলএসটি) এর নির্মাণ কাজ প্রায় ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। দেয়াল নির্মাণ, ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণের কিছু কাজ চলছে। আগামী জুনের মধ্যেই অবশিষ্ট কাজ শেষ করে প্রকল্প হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ বছরের জুলাইয়ে ছাত্র ভর্তির পরিকল্পনা নিয়েই তারা এগুচ্ছেন বলে জানান প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ড. মারুফ হাসান।
সিলেট নগরীর টিলাগড় আলুরতল এলাকায় প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ একর জায়গা নিয়ে স্থাপিত হয়েছে সিলেট ইন্সটিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি। প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন একাডেমিক ভবন। নির্মিত হয়েছে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য ৫ তলা বিশিষ্ট দুটি পৃথক হোস্টেল। শিক্ষকদের আবাসিক ভবন, ডরমেটরি ভবন, চিকিৎসা ও গবেষণার কাজের জন্য প্রাণি রাখার শেড, ৩ তলা ভেটেরনারি ক্লিনিক ও মসজিদ। ইতিমধ্যে ভবন গুলোর কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র দেয়াল ও ভেতরের রাস্তার কিছু কাজ অবশিষ্ট আছে। তবে সেসব কাজ দ্রুতই শেষ করে এবছরই ছাত্র ভর্তির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
তারা জানান, ইন্সটিটিউটে প্রাণিসম্পদ বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্সে প্রতি বছর এসএসসি উত্তীর্ণ ৬০ জন করে ছাত্র ভর্তির সুযোগ পাবেন। ৪ বছর মেয়াদি কোর্সে প্রাণি চিকিৎসা, পালন ও উন্নয়নসহ প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত সব বিষয়ে পড়ানো হবে। ইনস্টিটিউট থেকে কোর্স সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীরা সরকারি বেসরকারি চাকুরীতে যোগদান অথবা নিজেই প্রাণি চিকিৎসা সেবা প্রদান বা উদ্যোক্তা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
প্রকল্পের আওতায় অবশিষ্ট কাজ শেষ করে জুনের মধ্যেই হস্তান্তর করা হবে উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি ও প্রাণি সম্পদ সেবা তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার যে পরিকল্পনা নিয়েছেন তারই বাস্তবায়ন এই ইন্সটিটিউট । এখান থেকে কোর্স সম্পন্নকারীরা প্রান্তিক পর্যায়ে প্রাণিসম্পদের সেবা পৌছে দেবেন। দক্ষতা ছাড়া উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ড. মারুফ হাসান বলেন, সিলেট বিভাগে এই প্রথম ইন্সটিটিউট অব লাইভস্টক (প্রাণিসম্পদ) সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি স্থাপন করা হয়েছে। যা এই অঞ্চলের ছেলে মেয়েদের প্রাণিসম্পদ বিষয়ে পড়ালেখার নতুন সুযোগ তৈরি করবে। তিনি জানান, দীর্ঘদিন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসই পুরো উপজেলায় প্রাণি চিকিৎসা ও উন্নয়ন কার্যক্রম দেখভাল করতেন। এখন সরকার প্রতি ইউনিয়নে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিয়োগ দিচ্ছেন। ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীরা সরাসারি উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করতে পারবেন। আগামী জুলাই থেকেই ছাত্র ভর্তির পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলে প্রণিসম্পদ উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের প্রাণিসম্পদের উৎপাদন দিনদিন বাড়ছে। এরজন্য এখন দক্ষ জনবলের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। এখান থেকে কোর্স সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীরা প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন তিনি।