বাদাঘাটে ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের’ নিয়ে ওয়ার্ল্ড ভিশনের ব্যতিক্রমী আয়োজন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৮:৫৩:০০ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এর উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রফিক বলেছেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-কিশোররা সমাজের বোঝা নয়, সমাজের অংশ। স্নেহ ও ভালোবাসা পেলে তারাও উন্নয়নের মূল শ্রোতধারায় সম্পৃক্ত হয়ে অবদান রাখতে পারে।
তিনি গতকাল বুধবার বসন্তকে স্বাগত জানিয়ে বাদাঘাট মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও কিশোর এবং তাদের অভিভাবকদের নিয়ে আয়োজিত ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ সিলেট এরিয়া প্রোগ্রাম অফিসের ব্যবস্থাপনায় সিলেট সমাজসেবা কার্যালয় এ ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
‘বাড়িয়ে দাও তোমার হাত’ এই শ্লোগানে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ও আয়োজকরা শতাধিক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু, কিশোর-কিশোরীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। তাদের হাতে তুলে দেন ফুল ও উপহার সামগ্রী। এ সময় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু, কিশোররা। তাদেরই একজন কিশোর সাবাজ উদ্দিন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমাদের নিয়ে এমন আয়োজন হবে কল্পনাও করতে পারিনি। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ৭ বছরের শিশুকে নিয়ে আসা সালেহা বলেন, আজ নিজেকে অন্যরকম লাগছে। মনে হচ্ছে আমার শিশুটি বোঝা নয়, সেও এ সমাজেরই অংশ। এজন্য তিনি ওয়ার্ল্ড ভিশনকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা শিশু কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ভূইয়া, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহিনা আক্তার, জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, বাদাঘাট মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আহমদ আলী, কান্দিগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মনাফ, হাটখোলা ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা রফিকুজ্জামান, জালালাবাদ ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মন্তকা আহমদ, সহকারী অধ্যাপক কমর উদ্দিন প্রমুখ।
সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মনোরঞ্জন বাড়ৈর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ওয়ার্ল্ড ভিশন সিলেট এরিয়া কো-অর্ডিনেশন অফিসের সিনিয়র ম্যানেজার কাজল এ দ্রং বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু কিশোরদের উৎসাহ ও প্রেরণা দিতেই এ আয়োজন। তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন সিলেট অঞ্চলে ২০১৩ সাল থেকে হতদরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করছে। এর মধ্যে সিলেট অঞ্চলের সাড়ে ১৪ হাজার শিশু-কিশোর রয়েছে।