জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজে সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ও বসন্তবরণ উৎসব
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০১ মার্চ ২০২৪, ২:২৫:১৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের প্রথম বেসরকারি মেডিকেল কলেজ জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ, লিডিং ইউনিভার্সিটিসহ অসংখ্য শিক্ষা ও সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলী বলেছেন, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়। সে লক্ষ্যে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের চিকিৎসক হয়ে আর্ত পীড়িতদের সেবায় মনোনিবেশের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও গুরুত্ব দিতে হবে। একই সাথে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের সাথে মিশে যেতে হবে। সবার সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়াতে হবে। বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে সবাই একত্রিত হবে।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ-এর সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ২০২৪ এর পুরস্কার বিতরণী ও বসন্তবরণ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
কলেজের সাংস্কৃতিক কমিটির উদ্যোগে কলেজের খেলার মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: মোঃ আবেদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: এ.কে.এম. দাউদ, হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা: মোঃ তারেক আজাদ এবং সাংস্কৃতিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শামীমা আখতার ও ফটোগ্রাফি ক্লাবের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মুঈজ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: এ.কে.এম. দাউদ বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কঠোর অধ্যবসায়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এর ফাঁকে তাদের চিত্ত বিনোদনের জন্য উৎসবের আয়োজন খুব জরুরি। বসন্তবরণ উৎসব তাদের বিনোদনের খোরাক জুগিয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা: মোঃ তারেক আজাদ বলেন, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিবেশ যেন সংস্কৃতিময়। সকল ক্ষেত্রে এই কলেজের শিক্ষার্থীরা সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা: মোঃ আবেদ হোসেন বলেন, সুন্দর মনন গঠনের জন্য প্রয়োজন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ। আমাদের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ভালোই করছে। তিনি সকলের সাফল্য কামনা করেন। অনুষ্ঠানে জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে সাংস্কৃতিক সপ্তাহের বিভিন্ন ইভেন্টে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- নৃত্যেঃ ১ম- লেখিনা থমাস ২৫তম ব্যাচ, ২য়- পূর্বা দাশ ২৬তম ব্যাচ এবং ৩য়- অতসী তিথি ২৮তম ব্যাচ। পল্লীগীতিতে- ১ম- তমা রানী দাস ২৭তম ব্যাচ, ২য়- পঞ্চতপা ভৌমিক ২৭তম ব্যাচ এবং ৩য় সুচিত্রা সুচী ২৯তম ব্যাচ। ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট পারফরম্যান্স ইভেন্টে (নৃত্যে)- ১ম- মারিয়াম, প্রিয়া, নেহা, অলিভা, সামানা ২৯তম ব্যাচ, ২য়- আরাভ ইয়াদব ২৬তম ব্যাচ এবং ৩য়- ডিকেন্দ্র ২৮তম ব্যাচ ও জানিস (২৯তম ব্যাচ)। কবিতা আবৃত্তিতে- ১ম আফ্রিদা তাসনিম ঋতি ২৮তম ব্যাচ, ২য়- নিশাত আনজুম ২৫তম ব্যাচ এবং ৩য়- লামিমা মাসুদ চৌধুরী ২৯তম ব্যাচ। দেশাত্মকবোধক গানে-১ম- প্রজ্ঞা পারমিতা ২৮তম ব্যাচ, ২য়- তমা রানী দাস ২৭তম ব্যাচ এবং ৩য় পঞ্চতপা ভৌমিক ২৭তম ব্যাচ। রবীন্দ্র সংগীতে- ১ম- পঞ্চতপা ভৌমিক ২৭তম ব্যাচ, ২য়- তমা রানী দাস ২৭তম ব্যাচ এবং ৩য়- প্রিয়ম রায় ২৫তম ব্যাচ। নজরুল সংগীতে – ১ম- পঞ্চতপা ভৌমিক ২৭তম ব্যাচ, ২য়- প্রিয়ম রায় ২৫তম ব্যাচ এবং ৩য়- সুচিত্রা দাশ ২৯তম ব্যাচ।