ধানের শীষে দুল খাচ্ছে সুনামগঞ্জে ৩ লাখ কৃষকের স্বপ্ন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মার্চ ২০২৪, ৪:১৪:৫০ অপরাহ্ন
শহীদ নূর আহমেদ, সুনামগঞ্জ থেকে : গেল সপ্তাহের কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সতেজ হয়ে উঠেছে ধানগাছ। সুনামগঞ্জের হাওরজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। বাতাসে দুলছে ধানের শীষ। সবুজ ধানের শীষের ডগায় দুলছে কয়েক লাখ কৃষকের স্বপ্ন। আর কিছুদিন পর সোনালি ধান কেটে গোলায় তুলবেন হাওরের কৃষকরা। প্রকৃতি সহায় থাকলে এপ্রিলের প্রথম দিকে আগাম জাতের বোরো ধান কাটা শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় অন্য বছরের চেয়ে এবার বোরো ধানের আবাদ বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলায় ১৪২ হাওরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এবার বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। তবে, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষাবাদ হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে। যার মধ্যে হাওরে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৬১ হেক্টর ও নন হাওরে ৫৮ হাজার ৪৬ হেক্টর। হাওর ও নন হাওর মিলে হাইব্রিড জাতের ধান ৬৫১০৩ হেক্টর, উফশী জাতের ধান ১৫৭১১১ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ধান ১১৯৩ হেক্টর আবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আগামী ৭ এপ্রিল থেকে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা যায়। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সুনামগঞ্জে বোরো ফসল দিয়ে জাতীয় খাদ্য চাহিদার ১২ থেকে ১৩ দিন পূরণ করা হয়। সুনামগঞ্জের হাওর থেকে এবার ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টন ধান এবং চালের হিসাবে ৯ লাখ ২ হাজার টন চাল পাওয়া যাবে।
কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, অন্য বছরের চেয়ে এবছর বোরো ধানের উৎপাদন বেশি হয়েছে। হাওর-নন হাওর মিলে এবার ২৪২ হেক্টর বেশি চাষ হয়েছে। প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছি আমরা। এপ্রিলের প্রথম দিকে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে, উৎপাদিত ধান নিয়ে জেলার ৩ লাখের অধিক কৃষক আশায় বুক বেঁধে অপেক্ষায় থাকলেও বোরো ফসলের সুরক্ষায় বেড়িবাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় আগাম বন্যা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন হাওরের কৃষকরা। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে চলমান বাঁধের কাজে দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, বাঁধের কাজ শেষ পর্যায়ে। বৃষ্টিপাতের আগেই হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।