অটোরিকশা চালক হযরত আলী হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদন্ড
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ৪:৫৭:৫২ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক হযরত আলী হত্যা মামলায় পাঁচ আসামীর মৃত্যুদন্ডের (ফাঁসি) আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ের পাশাপাশি সকল আসামীকে ৩০২ ধারায় ১০ হাজার ও ৩৭৯ ধারায় ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিন চাঞ্চল্যকর এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কবির হোসেন।
মৃত্যুদপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার গোছহাট গ্রামের রওশন আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩১), একই জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ (বর্তমানে শান্তিগঞ্জ) থানার তাইকাপন গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ (১৯), একই থানার বুুরুমপুর গ্রামের মো. ফজিল বারীর ছেলে শিপু মিয়া (১৯), একই এলাকার হাজী মাসুক মিয়ার ছেলে জাকারিয়া উরফে মুন্না (২০) ও হরমুজ আলীর ছেলে মো. রুহুল আমিন (২০)। রায় ঘোষণার সময় দÐপ্রাপ্ত সকল আসামী পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জের মঙ্গলকাটা বাজারের জাহাঙ্গীর নগর এলাকার সাইদ মিয়ার ছেলে সিএনজি অটোরিক্সা চালক হযরত আলী। তিনি সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা আলমপুর এলাকায় খালেদ মিয়ার কলোনিতে ভাড়া থেকে নুরুল ইসলামের অটোরিক্সা চালাতেন। ঘটনার দিন ২০১৪ সালের ১৭ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে অটেরিক্সা নিয়ে বের হলে আসামীরা সিলেটের বিয়ানীবাজার যাওয়ার কথা বলে ভাড়া নেয় অটোরিক্সা। পথিমধ্যে ছুরিকাঘাত করে চালককে ফেলে অটোরিক্সা ছিনিয়ে নিয়ে যায় আসামীরা। পরে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হলে হযরত আলী মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শুকুর আলী বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৪ নভেম্বর বিয়ানীবাজার থানার এসআই মোহাম্মদ বাছেদ মিয়া ৫ আসামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র নং- ১৫৭) দাখিল করেন এবং ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে আদালত এ মামলার বিচারকার্য শুরু করেন।
দীর্ঘ শুনানী ও ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আদালত আসামী শহিদুল ইসলাম, সুমন আহমদ, শিপু মিয়া, জাকারিয়া উরফে মুন্না ও রুহুল আমিনকে ৩০২/৩৭৯/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদেরকে মৃত্যুন্ড (ফাঁসি) রায় ঘোষণা করেন এবং ৩০২ ধারায় প্রত্যেক আসামীকে ১০ হাজার টাকা ও ৩৭৯ ধারায় আরো ৫ হাজার টাকা জরিমানা করার দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি অ্যাডভোকেট মো. আব্দুস ছাত্তার, এডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট দিনা ইয়াছমিন ও বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট জায়েদা বেগম এবং আসামীপক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হাসান মামলাটি পরিচালনা করেন।