ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাত বিষয়ক সেমিনার
সরকারি যাকাত ফান্ডের অর্থ শরিয়া মোতাবেক ব্যয় হয় : বিভাগীয় কমিশনার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মার্চ ২০২৫, ১:৩২:০৩ অপরাহ্ন

ডাক ডেস্ক : সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেছেন, সরকারি যাকাত ফান্ডে জমা হওয়া অর্থ শরিয়া মোতাবেক পবিত্র কুরআনে বর্ণিত খাতসমুহে ব্যয় করা হয়। প্রাকৃতির দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও সাময়িক কর্মহীনদের জরুরি সহায়তা, দুস্থ-অসহায়দের চিকিৎসা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে জেলা ও উপজেলা যাকাত কমিটির মাধ্যমে এই অর্থ বিতরণ হয়। তাই দেশের সামগ্রিক দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে সরকারি যাকাত ফান্ডকে শক্তিশালী করতে হবে।
সোমবার (১০ মার্চ) সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘দারিদ্র দূরীকরণে যাকাতের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মহীউদ্দিন মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের মাস্টার ট্রেইনার মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ।
সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাত ফান্ড বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ও আনসার পিডিপি সিলেট রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক জিয়াউল হাসান প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, যাকাতের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনের পাশাপাশি সামাজিক সমস্যা নিরসন হয়। এ ক্ষেত্রে দেশের বিত্তবান ও সরকারি কর্মকর্তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরকারি যাকাত ফান্ডে যাকাত প্রদানে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের যাকাতের অর্থের অন্তত ৫০ শতাংশ সরকারি যাকাত ফান্ডে প্রদান করলে দেশের সামগ্রিক দারিদ্র বিমোচনে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
বক্তারা আরও বলেন, যাকাত বোর্ডকে এনবিআরের মতো পুনর্গঠন করে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে যাকাত আদায় ও বিতরণ করতে হবে। সকল শ্রেণীপেশার মানুষকে যাকাত সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি সরকারি যাকাত ফান্ডকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন ত্বরান্বিত তরতে হবে।
মূল প্রবন্ধে মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেন, যাকাত আদায় ও বিতরণ ব্যবস্থাকে গতিশীল করতে সরকার ইতোমধ্যে ‘যাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৪ প্রণয়ন করেছে। সরকারি যাকাত ফান্ডে প্রাপ্ত অর্থ শরিয়া মোতাবেক খাতসমুহে ব্যয় করা হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ে যাকাতের টাকা নগদে ও চেকে জমা নেওয়া হচ্ছে।