ছাতকের বনগাঁওয়ে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মার্চ ২০২৫, ১:৪৬:১১ অপরাহ্ন

ছাতক সুনামগঞ্জ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : ছাতকের বনগাঁও দারুল ক্বেরাত কেন্দ্রে ধর্ষণ আতঙ্কে সন্তান পাঠাতে এখন আতঙ্কিত অভিভাবক মহল। এতে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে ওই মসজিদে পরিচালিত বিশুদ্ধ ক্বোরআন শিক্ষা কেন্দ্রটি। ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মহিলা মেম্বার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হেলিমা বেগম ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড দাবি করেন। এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিরাজ করছে ক্ষোভ ও চাপা উত্তেজনা। এছাড়া ছাতকের বনগাঁওসহ সারাদেশে ঘটিত ধর্ষণের প্রতিবাদে রোববার বিকেল ছাতক শহরে মিছিল করেছে সচেতন যুব সমাজ। মিছিল পরবর্তী এক পথসভায় বক্তারা ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও উত্তরপাড়া জামে মসজিদে ‘ইত্তেহাদুল কুররা’ পরিচালিত দারুল ক্বেরাতে পড়তে এসে কেন্দ্র শিক্ষক মাওলানা শফিকুর রহমান কর্তৃক দু’দফা ধর্ষিত হয় বনগাঁও গ্রামের এক কিশোরী।
স্থানীয় ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন মাওলানা শফিকুর রহমান।
চলতি রমজান মাসে ওই মসজিদে ‘ইত্তেহাদুল কুররা’র অধীনে কেরাত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হয়। তিনি ওই কেন্দ্রের একজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। প্রথম রমজান থেকে মসজিদে ইত্তেহাদুল কুররার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক কিশোরী ভর্তি হন। এরপর থেকে শফিকুরের নজর পড়ে ওই কিশোরীর দিকে। একপর্যায়ে ৬ মার্চ দুপুর ১টার দিকে অন্য শিক্ষার্থীরা বাড়িতে চলে গেলে কৌশলে ওই কিশোরীকে মসজিদের হুজরাখানায় নিয়ে ধর্ষণ করেন শফিকুর।
এ ঘটনা কাউকে না বলতে কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে প্রথমদিন বিদায় দেন শফিকুর। পরে ৮ মার্চ দুপুরে আবারও ধর্ষণ করেন ওই ইমাম। এবার বিষয়টি কিশোরী তার পরিবারকে জানায়।
থানায় অভিযোগের পর রোববার (৯মার্চ) মসজিদ এলাকা থেকে শফিকুরকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার তাকে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকায় যাতে কোনভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে সেই ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।