এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণকাণ্ড, বাদীর সাক্ষ্য স্থগিত, আরেকজনের সাক্ষ্য গ্রহণ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২০ মে ২০২৫, ১:৩০:০৯ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মামলায় সহযোগী অধ্যাপক জীবন কৃষ্ণ আচার্য সাক্ষ্য দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার দাস তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলার বাদী মাঈদুল ইসলামের সাক্ষ্য স্থগিত রাখা হয়েছে।
আদালতের স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট মো. আবুল হোসেন সিলেটের ডাককে জানান, সোমবার ধার্য্য তারিখে সহযোগী অধ্যাপক জীবন কৃষ্ণ আচার্য সাক্ষ্য দেন। এছাড়াও আদালত বাদীর সাক্ষ্য স্থগিত রেখেছেন। আগামী রোববার সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য্য করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার দাসের আদালতে গতকালের ধার্য্য তারিখে এমসি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জীবন কৃষ্ণ আচার্যের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলার বাদী মাইদুল ইসলাম সাক্ষী দিতে আসেন। কিন্তু মামলার এজাহারে বাদী মাইদুল ইসলামের দেয়া বর্ণনা অনুযায়ী নিজের সাক্ষ্য দেননি। পরে আদালত তার সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত করেন। তবে ভিকটিম গৃহবধূ আদালতে সাক্ষী দিতে গতকালও আসেননি।
এর আগের ধার্য্য তারিখে নিজের আইনজীবী মাধ্যমে আবেদন করে বাদী সাক্ষ্য দিতে সময় প্রার্থনা করেন।
এদিকে, গত ৬ মে এই আদালতে মামলার প্রথম ধার্য্য তারিখে আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহ মোশাহিদ আলী আসামিদের জামিন আবেদন করলে আদালত আবেদনটি না মঞ্জুর করেন।
এর আগে উচ্চ আদালতের আদেশে বহুল আলোচিত মামলা দুটোর নথিপত্র এই আদালতে পাঠানো হয়।
গত ১৭ মার্চ সোমবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ্যাটর্নী জেনারেল অফিস থেকে করা লিভ টু আপিল বাতিলের আদেশ দিয়ে মামলা দুটোর নথিপত্র ৩০ দিনের মধ্যে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের আদেশ দেন।