সিলেটে কর্মশালা
হাওর ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আলেমদের সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে : ইফা মহাপরিচালক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মে ২০২৫, ৬:২৪:৫৬ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আঃ ছালাম খান বলেছেন, হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আলেমদের সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। এ দায়িত্বের অংশ হিসেবে হাওর এলাকা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত ও সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইমাম-মুয়াজ্জিনরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
বুধবার (২১ মে) ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় অডিটোরিয়ামে তিনদিন ব্যাপি কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইফা মহাপরিচালক আরো বলেন, শুধু মাত্র আইন তৈরি করলেই সমস্যার সমাধান হয় না। আইন বাস্তবায়নের জন্য সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন। ইমাম ও খতিবরা সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারেন বলেই সরকার তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি আর্থিক সহায়তাও করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম ও খতিবদের মাধ্যমে হাওর অঞ্চলের জনগণকে আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধকরণ করা হচ্ছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের পরিচালক মোহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জ জেলার উপপরিচালক মনিরুজ্জামান, সুনামগঞ্জ জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, মৌলভীবাজার জেলার উপপরিচালক মো. ফারুক আলম ও ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের প্রশিক্ষক আনোয়ারুল কাদির।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সুপারভাইজার সৈয়দ ফখরুল ইসলাম ও হাওর উন্নয়ন প্রকল্পের ফিল্ড সুপারভাইজার হাফিজ মো. কাওসার হামিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠনের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়ত করেন হাফিজ সালমান আহমদ।
সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের পরিচালক মোহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার বলেন, জুমার খুতবায় খতিবরা জীবনঘনিষ্ঠ বিষয় তুলে ধরা প্রয়োজন। মানুষের জীবনে কাজে লাগতে পারে, এ ধরনের বিষয় খুতবায় প্রাধান্য দিলে জাতি উপকৃত হবে। তিনি আরও বলেন, মানুষ ইমামদের কথা শোনে, তাদেরকে সম্মান করে। কোরআন-হাদীসের আলোকে সমসাময়িক বিষয়গুলো উপস্থাপন করলে মানুষ সেটা গ্রহণ করবে।
ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বনায়ন ও পরিবেশ রক্ষায় আলেম-ওলামাদেরকে সোচ্চার ভূমিকা রাখতে হবে। মৎস্য সম্পদ রক্ষার জন্য খাল-বিলের পানি শুকিয়ে মাছ না ধরতে সচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে।
উল্লেখ্য, ‘হাওর এলাকার জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইমামদের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।