হলফনামা বিশ্লেষণ --------------------------------------
মামলার আসামী ১১৩ কাউন্সিলর প্রার্থী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জুন ২০২৩, ৬:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বোচ্চ ৩৫ মামলার রেকর্ড একজনের অভিযোগ নেই ২ ওয়ার্ডের কারো বিরুদ্ধে
কাউসার চৌধুরী :
আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ৪২টি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২৮৬ জন কাউন্সিলর (সাধারণ) প্রার্থীর মধ্যে ১১৩ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে মামলা। এর মধ্যে একজনের নামে সর্বোচ্চ ৩৫টি মামলা রয়েছে। দু’জনের নামে ২৪টি ও ২৩টি করে মামলা আছে। বেশ কয়েকজন প্রার্থী আছেন যারা একসময় মামলার আসামি হলেও পরবর্তীতে খালাস বা অব্যাহতি পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিল করা প্রার্থীদের হলফনামা ঘেঁটে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে, একাধিক মামলার আসামী যারা বর্তমানে রাজনীতির সাথে জড়িত কিংবা অতীতে ছিলেন তাদের অনেকেরই ভাষ্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই তাদের নামে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ মামলা করা হয়। হয়রানি করাই হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য-এমন মন্তব্য তাদের।
প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩৫টি মামলা রয়েছে কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সোহেল রানার নামে। তিনি কাজিরখলার স্থায়ী বাসিন্দা। সোহেল রানা ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মামলাগুলোর মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন আদালতে ২৭টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আর ৮টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।
নগরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মঞ্জুর রহমান। তিনি শাহপরান আবাসিক এলাকার (বহর) স্থায়ী বাসিন্দা। তার নামে মামলা আছে ২৪টি। এর মধ্যে ১০টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। বর্তমানে ১৪ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
আলতাফ হোসেন সুমনের নামে মামলা আছে ২৩টি। এর মধ্যে বর্তমানে ১৮টি মামলা বিচারাধীন। বাকি ৪ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন সুমন। বিচারাধীন মামলাগুলোর মধ্যে অধিকাংশই বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইনের ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা। সুমন ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার বাড়ি শাহপুর খুররুমখলায়।
নগরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ আনোয়ারুছ সাদাত ২ মামলার আসামি ছিলেন। তবে তিনি মামলা দুটো থেকে খালাস পেয়েছেন। ওই ওয়ার্ডের আরেক প্রার্থী সৈয়দ তৌফিকুল হাদী ২ মামলার আসামি। দুটো মামলা বর্তমানে বিচারাধীন।
২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. রাজিক মিয়ার বিরুদ্ধে ২টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ওই ওয়ার্ডের আরেক প্রার্থী বিক্রম কর সম্রাট ২ মামলার আসামি ছিলেন। তবে তিনি মামলা দুটো থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ লায়েক ৩ মামলার আসামি। এর মধ্যে ২ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। তবে তার বিরুদ্ধে বর্তমানে একটি মামলা বিচারাধীন আছে। ওই ওয়ার্ডের আরেক প্রার্থী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এক মামলার আসামি ছিলেন। ওই মামলা থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা নেই।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী কামাল মিয়া ও রেজওয়ান আহমদের বিরুদ্ধে ৩টি করে মামলা ছিল। তারা দু’জনই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। ওই ওয়ার্ডের আরেক প্রার্থী শেখ মো. সাহেদ সিরাজের বিরুদ্ধে বর্তমানে ২টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মো. রিমাদ আহমদ রুবেল নামের এক প্রার্থী ৭ মামলার আসামি ছিলেন। তিনি ৬ মামলায় খালাস পেলেও তার বিরুদ্ধে বর্তমানে একটি মামলা বিচারাধীন ।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. শাহিন মিয়া ১ মামলার আসামি ছিলেন। ওই মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পান। একই ওয়ার্ডের আরেক প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সুমন বর্তমানে ৪ মামলার আসামি। মামলাগুলো বিচারাধীন রয়েছে। অপর প্রার্থী ফরহাদ চৌধুরী শামীম ৯ মামলার আসামি ছিলেন। এর মধ্যে একটি মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। বাকি ৮ মামলা বর্তমানে বিচারাধীন ।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খান একটি মামলার আসামি। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন আছে। ওপর প্রার্থী সায়ীদ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মোট ১৩ মামলার আসামি ছিলেন। ৬ মামলায় খালাস পেলেও তার বিরুদ্ধে বর্তমানে ৭টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আরেক প্রার্থী জাহিদ খান সায়েকের বিরুদ্ধেও দুটো মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। ওপর প্রার্থী ফয়জুল হক ১৩ মামলার আসামি ছিলেন। ৪ মামলায় খালাস পেলেও তার বিরুদ্ধে বর্তমানে ৯ টি মামলা বিচারাধীন । আরেক প্রার্থী মোহাম্মদ রানা আহমেদ ১০ মামলার আসামি। এর মধ্যে ২টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। বিচারাধীন রয়েছে ৮ মামলা। বিদ্যুৎ দাসও ৪ মামলার আসামি। একটিতে খালাস পেয়েছেন। বাকী ৩ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। জগদীশ চন্দ্র দাশের বিরুদ্ধে বর্তমানে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
৯ নস্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. বাবুল খান ৭ মামলার আসামি। ৫ মামলা থেকে অব্যাহতি পান তিনি। বাকি ২ মামলা বিচারাধীন । অপর প্রার্থী হাজী মো. মখলিছুর রহমান কামরান ২ মামলার আসামি ছিলেন। অবশ্য, দুটো মামলা থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন।
১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মোস্তফা কামাল ৩ মামলার আসামি। একটি নিষ্পত্তি হলেও বাকি দুটো বিচারাধীন রয়েছে। অপর প্রার্থী মো. তারেক উদ্দিন তাজের বিরুদ্ধে বর্তমানে ৩টি মামলা বিচারাধীন । গোলাম কিবরিয়া মাসুকও ২ মামলার আসামি। মামলা দুটোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মো. আব্দুল হাকিম ৮ মামলার আসামি। সবকটি মামলার বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মো. আফতাব ৪ মামলার আসামি। একটিতে খালাস পেলেও অপর ৩ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মো. ছাইনুর রহমানও ৫ মামলার আসামি। একটিতে তিনি খালাস পান। উচ্চ আদালতের নির্দেশে আরেকটির কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। বাকি ৩ মামলা বিচারাধীন ।
১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৪ প্রার্থীই মামলার আসামি। এর মধ্যে রকিবুল ইসলাম ঝলক একটি মামলার আসামি থাকলেও মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। আব্দুর রহিম মতচ্ছির ২ মামলার আসামি। একটিতে খালাস পেলেও অপরটি বিচারাধীন রয়েছে। মীর্জা এম. এস. হোসেন ৪ মামলার আসামি। বর্তমানে সবকটি মামলা বিচারাধীন আছে। আব্দুর রকিব বাবলু ২ মামলার আসামি ছিলেন। মামলা দুটো থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন।
১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির ৮ মামলার আসামি ছিলেন। এর মধ্যে ৪ মামলায় খালাস পেলেও বর্তমানে ৪ মামলা বিচারাধীন ।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শান্তনু দত্ত একটি মামলার আসামি। তবে, উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম মুনিমের বিরুদ্ধে বর্তমানে ২ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আব্দুল গাফফারের বিরুদ্ধে একটি ও মো. মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বর্তমানে দুুইটি মামলা বিচারাধীন ।
১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল মুহিত জাবেদের বিরুদ্ধে বর্তমানে ২টি মামলা বিচারাধীন আছে।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই।
১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এ.বি.এম. জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল ৪ মামলার আসামি। সবকটি মামলা বিচারাধীন । অপর প্রার্থী মো. শামছুর রহমান কামাল ৫ মামলার আসামি। এর মধ্যে ২ মামলায় খালাস পেলেও ৩টি বিচারাধীন রয়েছে।
১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এস. এম. শওকত আমীন তৌহিদ ২ মামলার আসামি ছিলেন। মামলা দুটো থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন।।
২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মিঠু তালুকদার ৪ মামলার আসামি। এর মধ্যে ৩ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। আরেক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আজাদুর রহমান আজাদ ৮ মামলার আসামি। তিনি ৭ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। অপর মামলা বিচারাধীন ।
২১ নম্বর ওয়ার্ডের সকল কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এর মধ্যে মো. আব্দুর রকিব তুহিন ২ মামলার আসামি ছিলেন। মামলা দুটো নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। মো. আসাদ বখত জুয়েলের বিরুদ্ধে ২ মামলা বিচারাধীন। মো. সাহেদুর রহমান ৩ মামলার আসামি। একটিতে খালাস পেলেও ২ মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গোলাম রহমান চৌধুরী ৪ মামলার আসামি। ৩ মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন। অপর মামলা বিচারাধীন ।
২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ছালেহ আহমদ সেলিম ৫ মামলার আসামি। এর মধ্যে ৪ মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। বর্তমানে একটি মামলা বিচারাধীন । মোহাম্মদ দিদার হোসেন ৪ মামলার আসামি। এর মধ্যে ৩ মামলা থেকে অব্যাহতি ও এক মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। মো. বদরুল আজাদ রানা ৮ মামলার আসামি। ২ মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ৬ মামলা বিচারাধীন । মো. ইব্রাহিম খান সাদেক ৩ মামলার আসামি ।
২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মামুনুর রহমান মামুন ৩ মামলার আসামি। একটি নিষ্পত্তি হলেও অন্য দুটোর বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মোস্তাক আহমদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হলেও মামলাটি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।
২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সোহেল আহমদ রিপনের বিরুদ্ধে বর্তমানে ২ মামলা বিচারাধীন । অপর প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান ২ মামলার আসামি ছিলেন। এর মধ্যে উচ্চ আদালতের নির্দেশে একটির কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। অপর মামলা থেকে তিনি খালাস পান। মোহাম্মদ আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে একটি মামলা থাকলেও তিনি ওই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।
২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রোকসানা বেগম শাহনাজ একটি মামলার আসামি ছিলেন। ওই মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। আরেক প্রার্থী আশিক আহমদ ২ মামলার আসামি। মামলা দুটো নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ তৌফিক বক্স একটি মামলার আসামি। তবে ওই মামলাটি খারিজ করা হয়।
২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল জলিল নজরুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অপর প্রার্থী শাহীন আহমদ ৪ মামলার আসামি।একটিতে খালাস পেলেও ৩টি মামলা বিচারাধীন ।
২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্বাছ আলী ৩ মামলার আসামি। বর্তমানে মামলাগুলো আদালতে চলমান রয়েছে। অপর প্রার্থী সোহেল রানা ৩৫ মামলার আসামি। তিনি ৮ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। বর্তমানে আদালতে ২৭ মামলা বিচারাধীন ।
২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী লাহিনুর রহমান লাহিন ২ মামলার আসামি। একটি থেকে অব্যাহতি পেলেও অপরটি বিচারাধীন রয়েছে। ইসমাঈল হোসেন মুরাদ ২ মামলার আসামি। একটি থেকে অব্যাহতি পান এবং অপরটি খারিজ করা হয়।
৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সেলিম আহমদ উরফে জাবেদ আমিন সেলিম ২ মামলার আসামি। মামলা দুটো বিচারাধীন । অপর প্রার্থী সানর মিয়া ৪ মামলার আসামি। সবকটি মামলা বিচারাধীন । রাজু মিয়ার বিরুদ্ধে ২ মামলা ও আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে ১ মামলা বিচারাধীন । আতাউর রহমান এক মামলার আসামি ছিলেন। পরবর্তীতে খালাস পান। মকসুদ আহমদ ১১ মামলার আসামি। ২ মামলায় খালাস পেলেও তার বিরুদ্ধে বর্তমানে ৯ টি মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
৩১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ইলিয়াছ মিয়া ৩ মামলার আসামি। মামলাগুলো বিচারাধীন । মো. আব্দুল মুকিতের বিরুদ্ধে ২ মামলা বিচারাধীন । নজমুল হোসেন ৩ মামলার আসামি। এর মধ্যে একটি থেকে অব্যাহতি ও দুটো থেকে খালাস পেয়েছেন।
৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হান্নান ৩ মামলার আসামি। দুটো থেকে খালাস পেলেও অপরটি বিচারাধীন । সৈয়দ ফরহাদ হোসেন ৪ মামলার আসামি। একটি থেকে খালাস পেয়েছেন। বাকি ৩ মামলার বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মতিউর রহমান রিপন ৫ মামলার আসামি। তবে সবকটি মামলা থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন। মো. রুহেল আহমদ ৪ মামলার আসামি। একটি থেকে খালাস পেলেও বাকি ৩ মামলা বিচারাধীন। স্বপন আহমদ রুমন ৭ মামলার আসামি। মামলাগুলো বিচারাধীন ।
৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ বাহার উদ্দিন ৬ মামলার আসামি। এর মধ্যে ২ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। বাকি ৪ মামলা বিচারাধীন । দেলোয়ার হোসেন ৪ মামলার আসামি। একটি থেকে খালাস পেলেও তার বিরুদ্ধে বর্তমানে ৩ মামলা বিচারাধীন । সেলিম আহমদ ৫ মামলার আসামি। ২ মামলা থেকে খালাস পেলেও বর্তমানে ৩ মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি মামলা বিচারাধীন । শাহজাহান আহমদ খাদিমের বিরুদ্ধে একটি মামলা বিচারাধীন । মঞ্জুর রহমান ২৪ মামলার আসামি। এর মধ্যে ১০ মামলা থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ১৪ মামলা বিচারাধীন আছে।
৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান পংকি ৪ মামলার আসামি। একটি থেকে অব্যাহতি পেলেও বিচারাধীন রয়েছে ৩ মামলা। কাজী মো. রুনু মিয়া মঈন ৬ মামলার আসামি। এর মধ্যে ৪ মামলা থেকে খালাস /অব্যাহতি পান। বাকি ২ মামলা বিচারাধীন ।
৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মনজুর আহমদ মনজু একটি মামলার আসামি। তবে তিনি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। অপর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ৩ মামলার আসামি। তিনি দুটো থেকে অব্যাহতি পান। অপর মামলা বিচারাধীন ।
৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হিরণ মাহমুদ নিপু ৬ মামলার আসামি। এর মধ্যে ৪ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। বাকি ২ মামলার কার্যক্রম আদালতে চলমান রয়েছে। তজমুল ইসলাম ২ মামলার আসামি। মামলা দুটোর কার্যক্রম চলমান ।
৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. পারভেজ আহমদ ৩ মামলার আসামি। একটিতে খালাস পেলেও ২ মামলা বিচারাধীন । মো. রিয়াজ মিয়া ৪ মামলার আসামি। এর মধ্যে একটি থেকে খালাস পেলেও বর্তমানে বিচারাধীন আছে ৩ মামলা। দিলোয়ার হোসেন জয় ৫ মামলার আসামি। একটিতে তিনি খালাস পেয়েছেন। ৪ মামলা বিচারাধীন । আলী হোসেন ৪ মামলার আসামি। তবে তিনি সবকটি মামলা থেকে খালাস/অব্যাহতি পেয়েছেন। শেখ লোকমান মিয়া এক মামলার আসামি থাকলেও তিনি ওই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।
৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিন ২ মামলার ও মো. আজিজুর রহমান সুমন একটি মামলার আসামি হলেও তারা মামলা থেকে অব্যাহতি পান। বেলাল আহমদ ১৪ মামলার আসামি। এর মধ্যে ৫ মামলায় খালাস পেলেও তার বিরুদ্ধে বর্তমানে ৯ মামলা বিচারাধীন । উসমান হারুন পনির ৩ মামলার আসামি। এর মধ্যে ১ মামলায় খালাস পেলেও বর্তমানে ২ মামলার বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মো. হেলাল উদ্দিন ৩ মামলার আসামি। এর মধ্যে ২ মামলায় অব্যাহতি পান। অপর মামলা বিচারাধীন । মো. জাকারিয়া ৭ মামলার আসামি। একটি থেকে খালাস পেয়েছেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ৬ মামলার বিচার কার্যক্রম চলমান আছে।
৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে আলতাফ হোসেন সুমন ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা নেই। সুমনের নামে ২৩ মামলার মধ্যে ১৮ মামলা বিচারাধীন । ৪ মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি।
৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হাছিব ২ মামলার আসামি। মামলা দুটো বিচারাধীন ।
৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. জিয়াউর রহমান ৩ মামলার আসামি। একটিতে খালাস পেলেও বর্তমানে ২ মামলা বিচারাধীন । নাজির আহমদ স্বপন ২ মামলার আসামি। মামলা দুটোর বিচার কার্যক্রম চলমান । মো. আল আমিন একটি মামলার আসামি হলেও তিনি মামলা থেকে খালাস পান। দিবাকর দেবনাথ ২ মামলার আসামি। দুটো মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি/খালাস পেয়েছেন। আক্তার হোসেন ২ মামলার আসামি। তবে দুটো মামলাই খারিজ করা হয়।
৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হাফিজ খান ৩ মামলার আসামি। বর্তমানে ৩ মামলা বিচারাধীন । মনজুরুল আরিফিন শিকদার (সুমন) ২ মামলার আসামি। মামলা দুটোর বিচার কার্যক্রম আদালতে চলমান রয়েছে।
মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী সিলেটের ডাককে বলেছেন, তাদের নামে করা মামলাগুলো রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুধুমাত্র সরকার বিরোধী পক্ষ হিসেবে মামলায় জড়ানো হয়েছে। অথচ বাস্তবে কোনো মামলার সাথে সম্পৃক্ততা নেই বলে তাদের দাবি।
কাউন্সিলর প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ৩৫ মামলার আসামি মো. সোহেল রানার ভাষ্য, নিজের ঘরে ঘুমের মধ্যে থেকেও মামলার আসামি হতে হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই আমার নামে মামলা দেয়া হয়। অথচ রাজনীতির সাথে দীর্ঘদিন ধরে কোনো সম্পর্ক নেই।
২৪ মামলার বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মঞ্জুর রহমান বলেন, কোনো অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত না হয়েও আমার নামে মামলা দেয়া হয়। ব্যক্তিগত কোনো কারণে নয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমার নামে এসব রাজনৈতিক মামলা দেয়া হয়েছে। এলাকার জনসাধারণ আমাদেরকে ভালো করে চেনেন-জানেন। কারা ভালো মানুষ আর কারা অপরাধী।
২৩ মামলার আসামি আলতাফ হোসেন সুমন বলেন, সবকটি মামলাই রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ব্যক্তিগত কোনো অপরাধ করে নয় বরং সরকারের অন্যায় কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়েই এসব ‘মিথ্যা’ মামলার আসামি হয়েছি- এমন দাবি সুমনের।
জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক ফারুক মাহমুদ চৌধুরী এ বিষয়ে সিলেটের ডাককে বলেন, এই সময়ের নির্বাচনগুলোতে আগের মতো সর্বজন গ্রহণযোগ্য মানুষ প্রার্থী হচ্ছেন না। দিন যত যাচ্ছে নির্বাচনে কালো টাকা-পেশীশক্তি কিংবা ক্ষমতার দাপট বেড়েছে। এমনিতেই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নানামুখী আলোচনাতো আছে। তবে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করা গেলে নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়বে।